জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে আর্থিক নয়ছয়-কাণ্ডে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে চার্জশিট দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শ্রীনগরের বিশেষ আদালত ইডির এই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটের ভিত্তিতে ২৭ আগস্ট ফারুক আবদুল্লা-সহ অন্য অভিযুক্তদের তলব করেছে। এর আগে ২০১৮-র জুলাইয়েও ফারুক-সহ অন্য তিন অভিযুক্তের নামে চার্জশিট দাখিল করেছিল সিবিআই। এবার ফারুক ছাড়া যাঁদের বিরুদ্ধে ইডি চার্জশিট দিল, তাঁরা হলেন এহসান আহমেদ মির্জা, মির মনজুর গজনফের-সহ আরও কয়েকজন। এই চার্জশিট ৪ জুন দাখিল করা হলেও শ্রীনগরের বিশেষ আদালত মঙ্গলবারই তা গ্রহণ করল।
এই ব্যাপারে ইডি জানিয়েছে, 'জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তহবিল থেকে অর্থ অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন কর্তা-সহ অন্যান্যদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে সরানো হয়েছে। সব মিলিয়ে এই আর্থিক নয়ছয়ের পরিমাণ ৫১.৯০ কোটি টাকা। যার মধ্যে ২১.৫৫ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা।' এর আগে জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ এহসান আহমেদ মির্জাকে এই মামলায় গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই বছরই ১ নভেম্বর, মির্জার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে ইডি। বর্তমানে মির্জার বিচার চলছে।
আরও পড়ুন- সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছিল কিশোর, প্রাণ বাঁচাল ড্রোন
চলতি বছরের মার্চে মির্জার ৭.২৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর আগে এই মামলায় ফারুক আবদুল্লার সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তদন্তে নেমে ইডির কর্তারা জানতে পেরেছেন, ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড বা বিসিসিআই যে অনুদান দিয়েছিল, জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তহবিল থেকে সেই অর্থই সরিয়েছেন ফারুক ও তাঁর সহযোগীরা।
ইডি কর্তারা তদন্তে নেমে দেখেছেন ২০০২ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড ৪৩ কোটিরও বেশি টাকা জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে দিয়েছিল। পরে তদন্ত চালিয়ে দেখা যায়, এই পরিমাণ ৫০ কোটি টাকারও বেশি। সেই টাকাই কারচুপি করা হয়েছে। ইডি কর্তারা জানিয়েছেন, সবমিলিয়ে জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে ১১২ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। তার মধ্যে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা নয়ছয় হয়েছে ফারুক আবদুল্লা ও ঘনিষ্ঠদের নেতৃত্বে।
Read full story in English