বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন রবার্ট বঢরা। গতকালের পর আজও আর্থিক তথরুপের মামলায় রবার্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি। বুধবার ৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বঢরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। লন্ডনে সম্পত্তি কেনাবেচায় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামীকে সমন করে ইডি। উল্লেখ্য, এ মামলায় বুধবারই প্রথমবার ইডির মুখোমুখি হলেন বঢরা।
বুধবার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ৯টা ৪০ মিনিট নাগাদ নয়া দিল্লিতে জামনগর হাউসে ইডির অফিস থেকে বেরোন রবার্ট। এদিন বঢরার আইনজীবী সমুন খৈতান বলেন, সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন রবার্ট। তিনি বলেন, ‘‘ওঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই ভুল। আমরা তদন্তে ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করব।’’
আরও পড়ুন, ইডি দফতরে রবার্টকে পৌঁছে দিলেন প্রিয়াঙ্কা
উল্লেখ্য, গতকাল ইডি দফতরে হাজিরা দিতে এসে চমক দেন রবার্ট বঢরা। ইডি দফতর পর্যন্ত স্বামীকে ছেড়ে আসেন স্বয়ং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এদিন রবার্টকে ইডি দফতরে ছাড়তে এসে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘পরিবারের পাশেই আছি...সকলেই জানেন, কী ঘটছে।’’
প্রসঙ্গত, পলাতক অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভান্ডারির মাধ্যমে লন্ডনের ওই সম্পত্তি বঢরা কিনেছিলেন বলে দাবি ইডির। যদিও ওই সম্পত্তি তাঁর নয় বলে দাবি করেছেন রবার্ট। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সঞ্জয় ভান্ডারির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে রবার্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পাশাপাশি টাকার লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এদিন জিজ্ঞাসাবাদের সময় বেশ কিছু নথিও পেশ করেছেন বঢরা।
আরও পড়ুন, কেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর উপরে পূর্ব উত্তর প্রদেশের ভার?
২০০৯ সালে ইউপিএ আমলে লন্ডনের একটি সংস্থাকে তেল মন্ত্রকের বরাত পাইয়ে দেওয়ার নামে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রবার্টের বিরুদ্ধে। ইডির দাবি, ওই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন ভান্ডারি। সম্প্রতি আদালতে ইডির তরফে জানানো হয়েছে, লন্ডনের ব্রায়ানস্টন স্কোয়ারে একটি সম্পত্তি কেনেন ভান্ডারি। পরে ২০১০ সালে সেই সম্পত্তি একই দামে রবার্টকে বিক্রি করেন। ইডির তরফে আরও জানানো হয়েছে, লন্ডনে একাধিক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, যেগুলি বঢরার বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এ মামলায় আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রবার্টকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে তদন্তে রবার্ট যাতে সহযোগিতা করেন, সে নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
Read the full story in English