ওপ্পো, শাওনির পর এবার আরেক চিনা মোবাইল নির্মাণকারী সংস্থার দফতরে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মঙ্গলবার ভিভোর ৪০টির বেশি দফতরে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে ভিভোর দফতরে অভিযান চালানো হয়। আর্থিক লেনদেন ও তছরুপের অভিযোগেই ইডির এই তল্লাশি বলে জানা গিয়েছে।
২০২০ সালে, একই আইএমইআই নম্বর দিয়ে দেশে প্রায় ১৩,৫০০ ফোন চালানোর অভিযোগে ভিভোর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করেছিল মিরাট পুলিশ। ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি (IMEI) হল একটি অনন্য ১৫ সংখ্যার কোড যা স্মার্টফোনগুলিকে পৃথকভাবে সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। ২০১৭ সালে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (TRAI) সমস্ত স্মার্টফোনে IMEI রাখার নির্দেশ দিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। যা অমান্য করলে মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা কর্তৃপক্ষের তিন বছরের জেল হতে পারে।
এটি দ্বিতীয় বৃহত্তর মামলা যা ইডি কোনও চিনা কোম্পানির বিরুদ্ধে নথিভুক্ত করেছে। এর আগে গোয়েন্দা সংস্থা ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (ফেমা) লঙ্ঘনের অপরাধে অবৈধভাবে বিদেশে অর্থ লেনদেনের অভিযোগে চিনা মোবাইল নির্মাতা শাওমির বিরুদ্ধে মামলা করেছিল।
এপ্রিল মাসে, ইডি ১৯৯৯ সালের ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট আইনে শাওমি টেকনোলজি ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের ৫,৫৫১,২৭ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল।
শাওমি ইন্ডিয়া হল চিন ভিত্তিক শাওমি গ্রুপের একটি সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহযোগী প্রতিষ্ঠান। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, বাজেয়াপ্ত করা টাকা কোম্পানির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পড়ে আছে। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে কোম্পানির করা অবৈধ লেনদেনের বিষয়ে তদন্ত শুরু করে ইডি। এপ্রিল মাসে, সংস্থাটি এই মামলার বিষয়ে শাওমির গ্লোবাল ভাইস-প্রেসিডেন্ট মনু কুমার জৈনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
একটি বিবৃতিতে ইডি বলেছিল, "কোম্পানিটি ২০১৪ সালে ভারতে তার কার্যক্রম শুরু করে এবং ২০১৫ সাল থেকে অর্থ লেনদেন শুরু করেছে৷ সংস্থাটি তিনটি বিদেশি ভিত্তিক সংস্থাকে ৫৫৫১.২৭ কোটি টাকার সমতুল্য বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ করেছে, যা কিছুটা রয়্যালটির মোড়কে শাওমি গ্রুপের কাছে রয়েছে। রয়্যালটির নামে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ তাদের চিনা মূল গ্রুপ সত্তার নির্দেশে প্রেরণ করা হয়েছিল। অন্য দুটি মার্কিন-ভিত্তিক কোনও সত্ত্বার কাছে পাঠানো হয়েছিল। শাওমি গ্রুপের সুবিধার জন্যই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল।"
ইডি-র মতে, শাওমি ইন্ডিয়া 'এমআই' ব্র্যান্ড নামে ভারতে মোবাইল ফোনের ব্যবসা করে।