বেঙ্গালুরুতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ভারতের সদর দফতরে হানা দিয়ে তল্লাশি চালাল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)। ভারতের মানবাধিকার সংগঠনগুলিতে বিদেশি ফান্ড নিয়ে তদন্তের অংশ হিসেবেই এই ইডি হানা বলে জানা গিয়েছে।
বেঙ্গালুরু ইডি-র যুগ্ম ডিরেক্টর রমন গুপ্তা শহরে অ্যামনেস্টির দফতরে তল্লাশির এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে একটি সরকারি বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে ইডি। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ২০১০ সালে তাদের অনুমতি তথা রেজিস্ট্রেশন দিতে অস্বীকার করার পর বিদেশি অনুদান (নিয়ন্ত্রণ) আইন (FCRA) এড়ানোর চেষ্টায় বিদেশি অনুদান পাওয়ার জন্য অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি বাণিজ্যিক সংস্থা তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন, অলোক ভার্মার বিরুদ্ধে সিভিসি-কে ২ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
ইডি-র বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়া তাদের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নামে ‘‘এখনও পর্যন্ত বাণিজ্যিক সূত্রে ৩৬ কোটি টাকার বিদেশি অনুদান পেয়েছে।’’ তার মধ্যে ১০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ হিসেবে এবং সেই অর্থ ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছে। কিছু অর্থ পাওয়া গেছে ইন্ডিয়ানস ফর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ট্রাস্টের মাধ্যমে।
বাকি ২৬ কোটি টাকা অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেডের দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কনসালটেন্সি সার্ভিসের জন্য জমা পড়েছে। বিদেশ থেকে AIIPL যে অর্থ পেয়েছে তা FDI নির্দেশিকা অমান্য করেছে। এই বিষয়টির জন্যই আজ বেঙ্গালুরুতে তাদের দফতরে তল্লাশি চালানো হয়েছে এবং আরও তদন্ত চলছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইডি-র অভিযোগের পাল্টা কোনও বিবৃতি এখনও জারি করেনি। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ইডি-র আধিকারিকরা অ্যামনেস্টির দফতরে হানা দিয়ে বেশ কিছু ম্যানেজমেন্ট স্তরের কর্মীদের কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করেছে এবং সমস্তরকম যোগাযোগব্যবস্থা অবরুদ্ধ করেছে ও দফতরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
মার্চ মাসে স্বরাষ্ট্রদফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী কিরেন রিজিজু সাংসদে বলেছিলেন ২০১০ সালের FCRA অনুসারে যে ২১টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে প্রশ্নমালা পাঠানো হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়াও। একই সঙ্গে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে বলা হয় অর্থ মন্ত্রককেও।
Read Full Story in English