তদন্তে সহযোগিতা করছেন না রবার্ট বঢরা। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। অর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় তাঁর জামিন বাতিল করতে দিল্লি হাইকোর্টে এই যুক্তি দিল ইডি। কেন্দ্রীয় এই সংস্থা জানিয়েছে, দুর্নীতির এমন এক 'আর্থিক যোগসাজশের'খোঁজ তারা পেয়েছে যাতে বঢরার জড়িত থাকার ইঙ্গিত রয়েছে। তাই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বিচারপতি চন্দ্রশেখরকে ইডির আইনজীবী জানান, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না রবার্ট বঢরা। তাই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।
ইডির তোলা অভিযোগের বিরোধিতা করেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট বঢরার আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সংস্থা তাঁর মক্কেলকে যতবারই ডেকে পাঠিয়েছে, তিনি উপস্থিত হয়েছেন। এবং তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রবার্ট মানতে চাননি মানে এই নয় যে তিনি তদন্তে অসহযোগিতা করছেন, বলেন বঢরার আইনজীবী। আগাম জামিনের আবেদনে এর আগে রবার্ট বঢরা বলেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে "ইডির কাছে যুক্তিগ্রাহ্য কোনও তথ্য নেই। এই সংক্রান্ত বিষয়ের তথ্য বিকৃতও করা যাবে না। কারণ ইডি সব বাজেয়াপ্ত করেছে। কেবল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই হয়রানি"। কংগ্রেসও বিষয়টিকে প্রতিহিংসার রাজনীতি বলে ব্যাখ্যা করেছে আগেই।
আরও পড়ুন: মির্জাকে ধরেই মুকুলকে ডাক সিবিআইয়ের
রবার্ট বঢরাকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য ইডির তরফে ১০টি ঘটনার উল্লেখ করা হয়। সোনিয়া গান্ধীর জামাইয়ের বয়ানের সঙ্গে তাঁর সহযোগীদের বয়ানেও অসঙ্গতি রয়েছে। এমন ১৮টি উদাহরণ আদালতে পেশ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এর আগে পেশায় ব্যবসায়ী বঢরার বিরুদ্ধে একাধিকবার আর্থিক দুর্নীতির মামলা মুলতুবি হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার ছিল শুনানি। ফের ৫ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে দিল্লি হাইকোর্ট।
বিশেষ সিবিআই আদালতের অনুমতি নিয়ে বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন রবার্ট বঢরা। গত ১ এপ্রিল এই আদালতই তাঁকে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আগাম জামিন মঞ্জুর করে। তারই বিরোধীতায় আবেদন পেশ করা হয় ইডির তরফে।
Read the full story in English