আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিইও চন্দা কোচরের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্ক, ভিডিকন গ্রুপের বিপুল সম্পত্তি ও তহবিল তছরুপের অভিযোগে প্রায় ৭৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এমনকী, মুম্বাইয়ের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট এবং চন্দা কোচরের স্বামী দীপক কোচারের মালিকাধীন সংস্থারও বেশ কিছু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
গত বছরের গোড়ার দিকে তদন্ত সংস্থাটি আর্থিক জালিয়াতি প্রতিরোধক আইন (পিএমএলএ)-এর আওতায় চন্দা কোচর এবং তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের লোন সংক্রান্ত অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে। প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৯ মার্চ ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ একটি প্রতিবেদনে জানায়, যে ২০১২ সালে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ৩,২৫০ কোটি টাকার ঋণ পাওয়ার ছ’মাসের মধ্যেই দীপক কোচর এবং দুই আত্মীয়ের সঙ্গে মিলে তিনি যে সংস্থা খুলেছিলেন, সেই সংস্থার অ্যাকাউন্টে কয়েক কোটি টাকা জমা করেন বেণুগোপাল ধূত। প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক এবং চন্দা কোচরকে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে রাখা হয়। ঋণ অনুমোদন প্রক্রিয়ার প্রাথমিক তদন্তের উদ্দেশ্যে একটি প্রিলিমিনারি এনকোয়ারি (পিই) ৮ ডিসেম্বর, ২০১৭ সালে শুরু করে সিবিআই।
দুর্নীতির গোলকধাঁধা। ২৯ মার্চ, ২০১৮ সালে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রথম প্রকাশ
২০১৯ সালের শুরুর দিকে চন্দা, তাঁর স্বামী ও ভিডিওকন গ্রুপের কর্তা বেণুগোপাল ধুতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ইডি। অভিযোগ, তাঁরা বেআইনিভাবে ব্যাঙ্ক থেকে ১৮৭৫ কোটি টাকা ঋণ পাইয়ে দিয়েছেন ভিডিওকন গ্রুপকে। এই অপরাধে তাঁদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআরও করে সিবিআই। যেখানে এই তিন অভিযুক্ত ছাড়াও বেণুগোপাল দূতের সংস্থা ভিডিওকন ইন্টারন্যাশনাল ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড এবং ভিডিওকন ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডের বিরুদ্ধেও এফআইআর করা হয়।
Read the story in English