মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে প্রায় সাত হাজার পাতার সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট দিল ইডি। আর্থিক তছরুপ ও বার মালিকদের থেকে পুলিশের মাধ্যমে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে দেশমুখের বিরুদ্ধে।
গত ২ নভেম্বর প্রায় ১২ ঘন্টা জেরার পর অনিল দেশমুখকে গ্রেফতার করে ইডি। মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনর পরমবীর সিং অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করলে হাইকোর্ট থেকে সিবিআইকে তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছিল। সেই অভিযোগ পর্যালোচনা করার পরই ইডি দেশমুখের বিরদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করেছিল।
মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের পাব ও বারগুলি থেকে ১০০ কোটি টাকা তোলাবাজির অভিযোগ ওঠে। বরখাস্ত পুলিশ অফিসার সচীন ওয়াজেকে দিয়ে তিনি এই কাজ করিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেই দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতেই সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। তাঁর একটি বাংলো ও একটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে আর্থিক তছরুপের মামলাটি তদন্ত করে ইডি।
এনফোর্সমেন্ট ডায়েরেক্টারের অভিযোগ, ক্ষেত্রে ২৭ কোম্পানির মাধ্যমে আর্থিক তছরুপের বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণ করতেন দেশমুখের পরিবার বা আত্মীয়রা। এইসব কোম্পানি বকমে দেশমুথের আত্মীয় বা পরিচিতরাই চালাতেন। ঘুষের টাকা দিল্লির কাগজ সংস্থাগুলির দ্বারা দেশমুখের ট্রাস্ট 'সাই শিক্ষা সংস্থা'-কে দান হিসাবে দেখানো হয়েছিল। যদিও মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রীর দাবি, ওই অর্থ সংস্থাগুলির থেকে ঋণ ও কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা খাতে নেওয়া হয়েছিল।
দেশমুখ হেফাজতে রয়েছেন এবং এখনও জামিনের জন্য আবেদন করেননি। এই মামলায় অভিযুক্ত দেশমুখের অন্য দুই কর্মী - সঞ্জীব পালান্দে এবং কুন্দন শিন্ডে-ও হেফাজতে রয়েছেন।
Read in English