শুক্রবার তাঁর বাড়িতে দিনভর তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। এবার আর্থিক তছরূপের অভিযোগে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সমন পাঠাল ইডি। শনিবার বেলার মধ্যে অনিল দেশমুখকে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। মুম্বাইয়ের এক রেস্তোরাঁ মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে তোলাবাজি-কাণ্ডে এই মামলা দায়ের হয়েছে। সেই রেস্তোরাঁ-পানশালা মালিকের অভিযোগ, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন একমাসে শিন্ডেকে ৪ কোটি টাকা তোলা দিয়েছেন শহরের ১০ জন পানশালা ব্যবসায়ী।‘
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় অনিল দেশমুখের ব্যক্তিগত সহকারী কুন্দন শিন্ডে আর ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব পালান্ডেকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যে অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। মুম্বাইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে এই তদন্ত।
মুম্বাইয়ের পুলিশ কমিশনার হিসেবে পরমবীর সিংকে অপসারণের পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন তিনি। সেই চিঠিতে পরমবীর সিং অভিযোগ করেন, ‘মুম্বাই পুলিশের সব ঊর্ধ্বতন আধিকারিকে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন মাসে ৪০-৫০ কোটি তোলা সংগ্রহ করতে।‘ এদিকে, এই মামলায় ১০টিরও বেশি বার মালিকদের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। মুকেশ অম্বানীর বাড়ির সামনে থেকে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মার্চে পুলিশ কমিশনার পদ থেকে পরমবীর সিংকে সরিয়ে দেওয়ার পরইউ আর্থিক তছরূপের বিষয়ে অনিল দেশমুখের নাম প্রকাশ্যে আনেন পুলিশ কর্তা।
অম্বানীকাণ্ডে ধৃত পুলিশ অফিসার সচিন ভাজ়ে এবং এসিপি সঞ্জয় পাটিলকে প্রতিমাসে ১০০ কোটি টাকা তোলাবাজির লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ, চিঠিতে এমনটাই উল্লেখ করে তা উদ্ধব ঠাকরের কাছে পাঠান পরমবীর সিং। এরপর সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে ইডি মামলা দায়ের করে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন