ঈদের ছুটি নিয়ে এ রাজ্যে ভুয়ো বিজ্ঞপ্তি ছড়ানোর ঘটনা নয়া মোড় নিল। শুক্রবার লালবাজারে তিনি যে হাজিরা দেবেন না, তা নিয়ে একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল কলকাতা পুলিশ। সেই মতোই এদিন কার্যত হাজিরা এড়ালেন রাজস্থানের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সঞ্জয় দীক্ষিত।
তবে সশরীরে লালবাজারে হাজিরা না দিলেও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ওই আইএএস অফিসার। আইনজীবী মারফৎ চিঠি পাঠিয়ে তাঁর না আসার কারণ কলকাতা পুলিশকে জানিয়েছেন শ্রী দীক্ষিত। শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি এদিন হাজিরা দিতে পারেননি বলে চিঠিতে লিখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ওই আইএএস অফিসার জানিয়েছেন, গোটা তদন্ত প্রক্রিয়ায় তিনি সহযোগিতা করবেন।
একটি টুইট রি-টুইট করার কথা চিঠিতে শ্রী দীক্ষিত উল্লেখ করেছেন বলে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও তিনি কবে লালবাজারে আসবেন বা চিঠির প্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিশ কী পদক্ষেপ নেবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
এ রাজ্যে ঈদের ছুটি নিয়ে ভুয়ো বিজ্ঞপ্তি ছড়ানোর ঘটনায় নাম জড়ানোর পর সঞ্জয় দীক্ষিতকে ২৯ জুন লালবাজারের সাইবার পুলিশের কাছে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। ঈদ উপলক্ষে গত ১৬ জুন এ রাজ্যে ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। কিন্তু একটি ভুয়ো খবরে দেখা যায়, ১৬ তারিখের পাশাপাশি ১২ থেকে ১৫ জুন পর্যন্তও রাজ্য সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে। যে ভুয়ো সরকারি বিজ্ঞপ্তিটি ছড়ানো হয়েছিল, তার উৎস ছিল শ্রী দীক্ষিতের একটি টুইট, তদন্তে এমনটাই উঠে এসেছিল বলে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটির ভুয়ো খবর: লালবাজারে তলব রাজস্থানের অতিরিক্ত মুখ্যসচিবকে
রাজ্য সরকারের অর্থ বিভাগের লেটারহেডে ঈদের ছুটি সংক্রান্ত ওই ভুয়ো বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নির্দেশিকাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথা বিশ্ব বাংলার লোগোও ব্যবহার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এতটাই নিপুণ হাতে চিঠির কাঠোমো সাজানো হয়েছিল যে তা সত্যি ভেবে ভুল করেছেন অনেকেই। এই ঘটনা নিয়ে হৈ চৈ শুরু হলে বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়ো ঘোষণা করে নিজেদের ফেসবুক এবং টুইটার পেজে সতর্কবার্তাও জারি করে কলকাতা পুলিশ। যাঁরা এই ভুয়ো বিজ্ঞপ্তিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিল লালবাজার।