বুধবার শপথ নেবেন আট জন নতুন লোকপাল। মঙ্গলবার সরকারি সূত্রে এ কথা জানানো হয়েছে। গত শনিবার দেশের প্রথম লোকপাল হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন বিচারপতি পিনাকী চন্দ্র ঘোষ।
বিভিন্ন হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতিরা লোকপালের বিচারবিভাগীয় সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হতে চলেছেন। এঁরা হলেন বিচারপতি দিলীপ বি ভোসলে, প্রদীপ কুমার মোহান্তি, অভিলাষা কুমারী। রয়েছেন। এ ছাড়া ছত্তিসগড় হাইকোর্টের বর্তমান প্রধান বিচারপতি অজয় কুমার ত্রিপাঠীও বিচারবিভাগীয় সদস্যদের মধ্যে থাকছেন।
লোকপালের অন্য সদস্যরা হলেন সশস্ত্র সীমা বলের প্রাক্তন তথা প্রথম মহিলা প্রধান অর্চনা রামসুন্দরম, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্য সচিব দীনেশ কুমার জৈন, প্রাক্তন আইআরএস অফিসার মহেন্দর সিং এবং গুজরাট ক্যাডারের প্রাক্তন আইএএস অফিসার ইন্দরজিৎ প্রসাদ গৌতম।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এই আট সদস্যই বুধবার শপথগ্রহণ করবেন।
আইনানুসারে লোকপাল প্যানেলে একজন চেয়ারপার্সন এবং সর্বাপেক্ষা আটজন সদস্য থাকতে পারেন। এঁদের মধ্যে চারজনকে বিচারবিভাগের সদস্য হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এক উচ্চ পর্যায়ের সিলেকশন কমিটি লোকপালের চেয়ারপার্সন এবং সদস্যদের নিয়োগের জন্য নাম প্রস্তাব করে। এর পর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাঁদের নিয়োগ অনুমোদন করেন।
৬৬ বছরের পিনাকী ঘোষ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে ২০১৭ সালের মে মাসে অবসর গ্রহণ করেন। এর পর থেকে তিনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য হিসেবে কাজ করছিলেন।
সরকারি কর্মীদের একটি নির্দিষ্ট অংশের দুর্নীতি রোধের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রে লোকপাল এবং রাজ্যে লোকায়ুক্ত নিয়োগ করার জন্য লোকপাল আইন পাস হয় ২০১৩ সালে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অথবা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে কর্মভার গ্রহণ করেছেন বা করছেন এমন কেউই লোকপাল হতে পারবেন।
লোকপাল প্যানেলে একজন চেয়ারপার্সন এবং সর্বাপেক্ষা আটজন সদস্য থাকতে পারবেন।
আইনে বলা আছে, লোকপাল প্যানেলের অন্তত ৫০ শতাংশ সদস্যকে তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি, ওবিসি, সংখ্যালঘু এবং মহিলা হতে হবে।
নির্বাচিত হওয়ার পরে লোকপালের চেয়ারপার্সন এবং সদস্যরা, পরবর্তী পাঁচ বছর অথবা সত্তর বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত কাজ চালাতে পারবেন।
লোকপাল প্যানেলের প্রধানের বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা হবে দেশের প্রধান বিচারপতির সমতুল্য।
লোকপালের অন্য সদস্যরা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির সমতুল্য বেতন ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
লোকপাল সিলেকশন কমিটির শীর্ষে থাকেন প্রধান মন্ত্রী। সিলেকশন কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, লোকসভার অধ্যক্ষ, সংসদের নিম্ন কক্ষের বিরোধী দলনেতা, দেশের প্রধান বিচারপতি অথবা তাঁর মনোনীত কোনও বিচারপতি, একজন প্রথিতযশা আইনজ্ঞ, যাঁকে রাষ্ট্রপতি বা অন্য কোনও সদস্য মনোনীত করতে পারেন।
আইনজীবী পিপি রাওয়ের মৃত্যুতে প্যানেলের আইনজ্ঞ পদটি খালি হওয়ার পরে প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগিকে এই পদে মনোনীত করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।