মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের ছেলে এবং সাংসদ শ্রীকান্ত শিন্ডের একটি ভাইরাল ছবি ঘিরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) তাঁর এই ছবিকে এখন নিশানা করেছে। ছবিতে সিএম শিন্ডের ছেলে শ্রীকান্ত শিন্ডেকে একটি চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায়, যেখানে তার পিছনের বোর্ডে মহারাষ্ট্র সরকারের মুখ্যমন্ত্রী লেখা রয়েছে। এই ছবি প্রসঙ্গে এনএসপি বলেছে আপনি কি সিএম হলেন? আপনার এই আচরণের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। একই সময়ে, এনসিপির এই অভিযোগগুলি অস্বীকার করে, শ্রীকান্ত দাবি করেন, ছবিটি তার ব্যক্তিগত বাসভবনে তোলা।
এনসিপি শুক্রবার সাংসদ শ্রীকান্ত শিন্ডেকে তার বাবা এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের চেয়ারে বসার অভিযোগ করেছে। এনসিপির তরফে এই প্রশ্নও তোলা হয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে কীভাবে একজন মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে পারেন। এনসিপির এই অভিযোগের বিষয়ে, মহারাষ্ট্রের কল্যাণ লোকসভার সাংসদ শ্রীকান্ত শিন্ডে বলেছেন “বাবা এবং আমি দুজনেই এই অফিসটি ব্যবহার করি। মানুষের সঙ্গে দেখা করতে এবং তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য এই অফিস আমরা ব্যবহার করি। আমি মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন বা অফিসে গিয়ে ওনার চেয়ারে বসিনি। মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠকের জন্য সেখানে এই বোর্ড আনা হয়েছিল।
আরও পড়ুন : < পাক প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া জবাব! সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ইসলামাবাদকে তুলোধোনা ভারতের >
এনসিপির রাজ্য সভাপতি মেহবুব শেখও শ্রীকান্ত শিন্ডের এই ছবি টুইট করে লিখেছেন- "মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রেখেছেন তাঁর ছেলে। এটা মুখ্যমন্ত্রীর পদের মর্যাদাহানির ঘটনা। কীভাবে একজন এভাবে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার ব্যবহার করতে পারেন? এটা কোন সাম্রাজ্য?!" অন্যদিকে শ্রীকান্ত শিন্ডে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেকেও কটাক্ষ করে বলেন, "তাঁর বাবা দিনে যেখানে মানুষের জন্য ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা কাজ করেন সেখানে আগের মুখ্যমন্ত্রীরা এক জায়গায় বসে ঠান্ডা ঘরের হাওয়া খেতেন”।