করোনায় বিপর্যস্ত দেশ। এই ভাইরাসের থেকে পরিত্রাণ করে তাও সঠিকভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ যাতে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে না পারে তা নিশ্চিৎ করতে মরিয়া নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজনে কোভিড-১৯ রোগীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখছে কমিশন।
চলতি বছরের শেষেই বিহারে বিধানসভা ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচন থেকেই করোনা পডিটিভ ভোটারদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দানের প্রক্রিয়া লাগু করতে পারে কমিশন। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এই ইঙ্গিত দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র। কোভিড রোগীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দানের বিষয়টি ইতিমধ্যেই আইন মন্ত্রককের কাছে প্রস্তাব আকারে পেশ করা হয়েছে। মন্ত্রক তা গ্রহণ করেছে বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিধি অনুশারে যাঁরা কোভিড-১৯ রোগী বলে বিবেচিত হবে তাঁরা ছাড়াও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বৈধ ভোটাররাও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র জানিয়েছেন, 'একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে ভোটার আগেই জানাবেন যে তিনি কোভিড পজিটিভ। তা গ্রাহ্য বলে বিবেচিত হলে ওই ভোটার আর বুথে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন না। তাঁকে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হবে।' বিহার ভোটেই শুধু নয়, পরবর্তী ক্ষেত্রে অন্যন্য ভোট , এমনকী বাইপোলেও এই বিধি কার্যকর হতে পারে।'
কনটেনমেন্ট জোনে যেসব ভোটার পজিটিভ নন তারা কীভাবে ভোট দান প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন? কমিশনার চন্দ্রের কথায়, 'এক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের থেকে তথ্য চাইবে কমিশন নিযুক্ত প্য়ানেল। প্রয়োজনের অ্যাডভান্স ভোটিং সহ একাধিক বিকল্পের কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।' নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রের কথায়, 'মহামারীর কারণে ভারতে ভোটের হার যাতে কোনও মতেই না কমে যায় সেটা নিশ্চিৎ করাই আমাদের লক্ষ। এর জন্য সম্ভাব্য যা যা করণীয় কমিশন তা করতে প্রস্তুত। প্রয়োজনে পোলিং অফিসার পোস্টাল ব্যাটল কোভিড-১৯ পজিটিভ ভোটারের কাছে দিয়ে আসবে, ভোট দানের পরে তা ফেরৎ আনবে।'
সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখতে বুথে ভোটার সংখ্যা কমানোর কথাও ভেবেছে কমিশন। বর্তমানে প্রতি বুধে প্রায় ১৬০০ করে ভোটার ভোট দেন। সেই সংখ্যা হাজারের নামিয়ে আনা যেতে পারে। এর জন্য বাড়তি ৩০ হাজার পোলিং বুথের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার।
করোনা আবহে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচার পদ্ধতি নিয়ে কী ভেবেছে কমিশন? চন্দ্র বলেছেন, 'প্রচারের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির গাইডলাইন মান্য করতে হবে। ভার্চুয়াল ব়্যালি করতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকে। প্রচার করতে হবে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে। তবে, পুরোটাই নির্ভর করছে বিহার ভোটের আগে পরিস্থিতির উপর।' আগামী ২৯ নভেম্বর বিহার বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন