সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এমন বড় ট্রেন দুর্ঘটনা আগে দেখেনি দেশ। এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনার পর প্রায় দু’দিন কাটতে চললেও এখনও যাত্রীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান জারি। ২ হাজারেরও বেশি কর্মী উদ্ধার অভিযানে সামিল রয়েছেন। ওডিশার বালাসোরের কাছে শুক্রবার সন্ধ্যায় যে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে তার রেশ যেন এখনও রয়ে গিয়েছে।
Advertisment
এর মাঝেই ওড়িশা সরকারের তরফে মৃতের চূড়ান্ত সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে শুক্রবার সন্ধ্যায় যে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে তাতে মৃত্যু হয়েছে ২৭৫ জনের। এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে ১৮৭ টি দেহ এখনও শনাক্তকরণের কাজ বাকী রয়েছে। এদিকে দুর্ঘটনার জেরে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পদত্যাগ দাবি করেছে কংগ্রেস।
ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ নিয়ে এবার মুখ খুললেন খোদ রেলমন্ত্রী। ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমের পরিবর্তনের কারণে বালাসোরে ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনা, প্রথমবার দুর্ঘটনার কারণ জানালেন রেলমন্ত্রী।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আজ আবার বালাসোরে দুর্ঘটনাস্থলে রেলওয়ে ট্র্যাক মেরামতের কাজ পরিদর্শন করেছেন। বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনার পর, ট্র্যাক পরিষ্কার এবং পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজে দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। এর মাঝেই রেলমন্ত্রী একটি বড় বিবৃতি দিয়ে বলেছেন যে দুর্ঘটনার জন্য যারা দায়ি তাদের ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাশাপাশি তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছেন তা একেবারেই সঠিক নয়, দুর্ঘটনার কারণ একেবারেই আলাদা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেন, 'কবচের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই... তিনি আরও বলেন, 'কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি বিষয়টি তদন্ত করেছেন। ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং পরিবর্তনের কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তদন্ত রিপোর্ট আসুক তারপর এবিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেশ করা হবে।
রেলমন্ত্রী আরও বলেন, বুধবার সকালের মধ্যে এই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সমস্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আমাদের লক্ষ্য এই ট্র্যাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ট্রেন চালু করা। তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দ্রুত কাজ চলছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, 'যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ট্রেন চলাচল স্বভাবিক করা আমাদের দায়িত্ব’।