সমাজকর্মী সুধা ভরদ্বাজ, ভার্নন গনজালভেজ ও অরুণ ফেরেইরার জামিনে আবেদন শুক্রবার খারিজ করে দিল পুনে দায়রা আদালত। মাওবাদী যোগাযোগের অভিযোগে এঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই তিনজন এখন গৃহবন্দি রয়েছেন। গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ আজই শেষ হচ্ছে এই সমাজকর্মীদের।
এই তিন অ্যাক্টিভিস্টকে গত ২৮ অগাস্ট গ্রেফতার করা হয়। সেদিন একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছিল ভারভারা রাও এবং গৌতম নওলাখাকে। গত ৩১ ডিসেম্বর পুনেতে এলগার পরিষদ কনক্লেভের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল এঁদের বিরুদ্ধে। যার পরের দিন কোরেগাঁও ভীমায় হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন, এলগার পরিষদ ধরপাকড়: পরিচিত অভিজ্ঞতা, জানালেন ভার্নন গনজালভেজের পুত্র
এর আগে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট ভারভারা রাও এবং গৌতম নওলাখার সঙ্গে এই তিনজনের মুক্তির আবেদন খারিজ করে গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ চার সপ্তাহ বাড়িয়ে দেয়।
ঐতিহাসিক রোমিলা থাপার এবং অন্যদের আবেদন খারিজ করে দিয়ে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র এবং বিচারপতি এ এম খানইউলকর বলেন, তাঁরা মামলার বিভিন্ন তথ্য খতিয়ে দেখেছেন এবং তাঁরা মনে করছেন কেবলমাত্র রাজনৈতিক আদর্শের বিরোধের জন্যই এই গ্রেফতার করা হয়নি, বরং নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, এলগার পরিষদ কাণ্ডে বাংলার বিদ্বজ্জনদের হিরণ্ময় নীরবতা
শুক্রবার তিন সদস্যের বেঞ্চ রোমিলা থাপারের রিভিউ পিটিশন খতিয়ে দেখবে। ওই পিটিশনে শীর্ষ আদালতের অধিকাংশ সদস্য মহারাষ্ট্র পুলিশের এই গ্রেফতারির পক্ষে যে মত দিয়েছেন তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
এরপর আগামী ২৯ অক্টোবর বম্বে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মহারাষ্ট্র সরকারের আবেদন শুনবে শীর্ষ আদালত। বম্বে হাইকোর্ট অভিযুক্ত পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য আরও সময় চেয়ে রাজ্য সরকারের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের তরফে করা দ্রুত শুনানির আবেদনের ভিত্তিতে এই তারিখ নির্দিষ্ট করেছে।