Advertisment

এলগার পরিষদ কাণ্ডে ধৃত গৌতম নওলাখাকে গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তির নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের

দিল্লি হাইকোর্ট গৌতম নওলাখার গ্রেফতারি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। আদালত জানিয়েছে তারা মহারাষ্ট্র পুলিশের গ্রেফতারি সংক্রান্ত কার্যবিধি খতিয়ে দেখবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি গৌতম নওলাখার

এলগার পরিষদ কাণ্ডে ধৃত সাংবাদিক গৌতম নওলাখাকে গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি দিল দিল্লি হাইকোর্ট। ভীমা কোরেগাঁও মামলায় যে পাঁচজন অধিকার কর্মীকে গৃহবন্দি রাখা হয়েছিল, গৌতম ছিলেন তাঁদের অন্যতম। দিল্লি হাইকোর্ট বলেছে ২৪ ঘন্টার বেশি তাঁকে আটক রাখার সিদ্ধান্ত অসমর্থনযোগ্য। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট গৌতম নওলাখা ও অন্য চারজনের গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ আরও চার সপ্তাহের জন্য বাড়িয়ে দিয়েছিল। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল তাঁরা মুক্তির জন্য নির্দিষ্ট আদালতে আবেদন করতে পারেন।

Advertisment

গত মাসে দেশের বেশ কিছু শহরে তল্লাশি চালানোর পর গৌতম নওলাখাকে গ্রেফতার করা হয়। দক্ষিণ দিল্লির সাকেত জেলা আদালত তাঁকে পুনে নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রানজিট রিম্যান্ডের আবেদন জানায়। সোমবার দিল্লি হাইকোর্ট সেই ট্রানজিট রিম্যান্ডের নির্দেশও খারিজ করে দিয়েছে।

গত ২৮ অগাস্ট গৌতম নওলাখা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভারভারা রাও, ভার্নন গনজালভেজ, অরুণ ফেরেইরা, সুধা ভরদ্বাজকে  গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

দিল্লি হাইকোর্ট গৌতম নওলাখার গ্রেফতারি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। আদালত জানিয়েছে তারা মহারাষ্ট্র পুলিশের গ্রেফতারি সংক্রান্ত কার্যবিধি খতিয়ে দেখবে। খতিয়ে দেখা হবে তাঁকে পুনে আদালতে হাজির করানোর ট্রানজিট রিম্যান্ডের নির্দেশও।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পুনেতে আয়োজিত এলগার পরিষদ কনক্লেভ এবং তার পরদিন কোরেগাঁও-ভীমা গ্রামে যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছিল, তার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গৌতম নওলাখাকে গ্রেফতার করে পুনে পুলিশ।

এর পর এই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে ঐতিহাসিক রোমিলা থাপার, অর্থনীতিবিদ প্রভাত পট্টনায়ক সহ বেশ কয়েকজন সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন। সুপ্রিম কোর্ট ধৃত পাঁচজনকেই গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দেয়। তবে, ধৃতদের যে মতাদর্শগত বিরোধিতার কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে কথা মানতে অস্বীকার করে শীর্ষ আদালত।

Human Rights Elgaar Parishad
Advertisment