এলগার পরিষদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে গেল আনন্দ তেলটুম্বড়ে ও গৌতম নওলাখার আগাম জামিনের আবেদন। শীর্ষ আদালত এই দুই সমাজকর্মীকে দু সপ্তাগের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে। অবিলম্বে তাঁদের পাসপোর্টও জমা দিতে বলা হয়েছে।
গৌতম নওলাখা ও তেলটুম্বড়ের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ রয়েছে। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুনেতে এলগার পরিষদের অনুষ্ঠানে অংশ নেবার অভিযোগও রয়েছে এই দুজনের বিরুদ্ধে।
Supreme Court rejects anticipatory bail plea of Anand Teltumbde & Gautam Navlakha. Three weeks time to surrender. To surrender passports forthwith. @IndianExpress
— Ananthakrishnan G (@axidentaljourno) March 16, 2020
এর আগে বম্বে হাইকোর্টে দুজনের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি প্রকাশ ডি নায়েক তাঁদের অন্তর্বর্তী সুরক্ষার মেয়াদ চার সপ্তাহ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন যাতে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারেন।
যুদ্ধের দর্শন, যুদ্ধের রাজনীতি
হাইকোর্টে পুনে পুলিশের বক্তব্য ছিল তেলটুম্বড়ে নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী) সংগঠনের সক্রিয় সদস্য এবং তিনি এদের বিভিন্ন গণসংগঠন, যথা অন্ধ্র গান্ধী মেমোরিয়াল, কমিটি ফর প্রটেকশন অফ ডেমোক্রেটিক রাইটস (সিপিডিআর) এবং ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ পিপলস লইয়ার্স (আইএপিএল)-এর হয়ে কাজ করেন।
তেলটুম্বড়ের আইনজীবী বলেন, যে দাবি করা হচ্ছে এবং যে সব নথি পেশ করা হয়েছে এ দুয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য নেই।
পুলিশ বলেছে গৌতম নওলাখা নিষিদ্ধ মাওবাদী গোষ্ঠীর হয়ে অর্থ সংগ্রহ করতেন, কর্মী নিয়োগ করতেন, এবং অস্ত্র কেনার বন্দোবস্ত করতেন। শুধু তাই নয়, সরকারকে উৎখাত করার বৃহত্তর ষড়যন্ত্রেও তিনি যুক্ত বলে দাবি করেছে পুলিশ।
নওলাখার দাবি তিনি একজন নাগরিক অধিকার কর্মী হিসেবে বিভিন্ন জনজাতি এলাকায় সত্যসন্ধানে যেতেন। তিনি বলেন. তাঁর এই পরিদর্শনের উদ্দেশ্য বেআইনি গ্রেফতারির ও স্থানীয়দের উপর যে হিংস্রতা নেমে আসে তার প্রভাব নথিবদ্ধ করা।