/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/02/anand-teltumbde-1.jpg)
১২ তারিখ পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না অধ্যাপককে
এলগার পরিষদ কাণ্ডে গোয়া ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক আনন্দ তেলতুম্বড়েকে ১২ ফেব্রুয়ারি মাঝরাত পর্যন্ত গ্রেফতার করা চলবে না, জানিয়ে দিল বম্বে হাইকোর্ট। অধ্যাপক তেলতুম্বড়ে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলে বম্বে হাইকোর্টে। সেই আবেদনের জবাবস্বরূপ হলফনামা পেশ করার জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল পুনে পুলিশকে। আদালতের ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অধ্যাপককে গ্রেফতার না করার নির্দেশে রাজি হয়েছে পুনে পুলিশ।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভীমা কোরেগাঁও যুদ্ধের ২০০ বছর পূর্তির আগের দিন পুনেতে একটি অনুষ্ঠান ঘিরে হিংসা ছড়ায়। হিংসার জন্য এলগার পরিষদই দায়ী বলে দাবি করেছে পুলিশ। পরে এ মামলায় মাওবাদী যোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুনে পুলিশ। অভিযুক্তদের তালিকায় উঠে আসে আনন্দ তেলতুম্বড়ের নাম।
আরও পড়ুন, আদালত ঘরে ফেরাচ্ছে শবরীমালায় প্রবেশ করা কনকদুর্গাকে
অতিরিক্ত সরকারি আইনজীবী অরুণা পাই আদালতকে জানিয়েছেন বেআইনি কার্যকলাপ দমন আইনের বিভিন্ন ধারায় আটক করা হয়েছিল অধ্যাপককে। অধ্যাপক তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা সমস্ত অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন বম্বে হাইকোর্টে। সে আবেদন খারিজ করে দেয় বম্বে হাইকোর্ট। বম্বে হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখে শীর্ষ আদালতও। আদালতের কাছে সময় চেয়ে অরুণা পাই জানিয়েছেন পুলিশ ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হলফনামা জমা দেবে।
সিনিয়র কাউন্সেল মিহির দেশাই জানিয়েছেন আদালত নির্দেশ দিয়েছে চার সপ্তাহের মধ্যে তেলতুম্বড়েকে গ্রেফতার করা যাবে না। সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। তিনি বলেন, "গত সপ্তাহে তেলতুম্বড়েকে আগাম জামিন দেয়নি সেশন কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আদেশের উল্লেখ করে আদালত থেকে ছাড়া পান তিনি। শীর্ষ আদালত চার সপ্তাহের জন্য অধ্যাপককে স্বস্তি দিয়েছে। এখন হাই কোর্টে তাঁর আগাম জামিনের প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেলে ফের শীর্ষ আদালতেই আবেদন করতে পারেন তেলতুম্বড়ে।
দেশাই অবশ্য মনে করছেন, ১১ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য আদালতে এলে গ্রেফতার করা হতে পারে অধ্যাপককে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ অগাস্ট যে ৭ জন সমাজকর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল পুনে পুলিশ, তাঁদের মধ্যে অন্যতম আনন্দ। এঁদের মধ্যে ৪ জন পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। আরেক অভিযুক্ত গৌতম নভলখা গ্রেফতারি এড়িয়েছেন। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রেফতারি থেকে রক্ষা পেয়েছেন গৌতম। রাঁচির স্ট্যান স্বামীকে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। গত বছর জুনে আরও ৫ সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করেছিল পুনে পুলিশ। ওই ৫ জনও বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।