এলগার পরিষদ মামলায় পুণা পুলিশের তদন্তের সময়সীমা আরও তিন মাস বাড়িয়ে দিল বিশেষ আদালত। সোমবারের এই নির্দেশের ফলে কবি ভারভারা রাও, সমাজকর্মী সুধা ভরদ্বাজ, অরুণ ফেরেইরা এবং ভারনন গঞ্জালভেসের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়ার জন্য আরও ৯০ দিন অতিরিক্ত সময় পেয়ে গেল পুণা পুলিশ।
উল্লেখ্য, গ্রেফতারির ৯০ দিনের মধ্যে পুলিশকে চার্জশিট বা অভিযোগপত্র পেশ করতে হয়। ফলে এ ক্ষেত্রে ২৮ অগস্টকে গ্রেফতারির দিন ধরলে, ৯০ দিনের সময়সীমা পূর্ণ হয় ২৫ নভেম্বর। আর এই সময়সীমার ঠিক একদিন আগে আদালতে একটি আবেদন জমা দেন পুলিশের অ্যাসিসটেন্ট কমিশনার শিবাজী পাওয়ার। ওই আবেদনে তিনি বলেন, "...সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের একাধিক নির্দেশের ফলে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনীয় সময় পাননি তদন্তকারী অফিসাররা...তাছাড়াও, ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী, গৃহবন্দিদশাকে এই সময়সীমার মধ্যে ধরা যায় না...ফলে, এই সময়টাকে ৯০ দিনের হিসাবের বাইরেই রাখতে হবে"। এরমধ্যেই আবার জেলার সরকারি আইনজীবীর মাধ্যমে অতিরিক্ত সেশন জজ কিশোর ডি বদানের এজলাসে পৃথকভাবে একটি রিপোর্ট জমা দেয় পুণা পুলিশ। এই তদন্তে কতটা অগ্রগতি হয়েছে সে বিষয়ে ওই রিপোর্টে বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, মাওবাদীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর চক্রান্তে যুক্ত থাকার অভিযোগে গত ২৮ অগস্ট ইউএপিএ আইনে এই চার জন এবং দিল্লির সমাজকর্মী গৌতম নওলখাকে গ্রেফতার করে পুণা পুলিশ। এরপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গ্রেফতারির পরিবর্তে এই পাঁচ জনকে চার সপ্তাহ ধরে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। এঁদের গৃহবন্দিদশা কাটার পর সকলেই জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হওয়ার পর অক্টোবর মাসে ভরদ্বাজ, ফেরেইরা এবং গঞ্জালভেসকে ফের হেফাজতে নেয় পুলিশ এবং ১৭ নভেম্বর ফের ভারভারা রাওকেও আটক করা হয়। এরপর ১ অক্টোবর দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে মুক্তি পান নওলখা।
Read the full story in English