এলগার পরিষদ মামলায় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের নয়ডার বাড়িতে তল্লাশি চালাল পুনে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে হানি বাবু নামে ৪৫ বছরের ওই অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হয়নি বা তাঁকে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়নি। মঙ্গলবার সকালে পুনে পুলিশের একটি দল হানি বাবুর বাড়িতে পৌঁছয় এবং বিকেল পর্যন্ত তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায়। বাবুর বাড়ি থেকে কিছু বই বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
এসিপি শিবাজি পাওয়ার এই মামলার তদন্ত করছেন। তিনি এ তল্লাশির কথা স্বীকার করেছেন। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হয়নি বা মামলায় তাঁর নাম অভিযুক্ত হিসেবে রাখা হয়নি, তবে এই মামলায় অভিযুক্তদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কী, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে হানি বাবু রাজনৈতিক বন্দি মুক্তি কমিটির সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুন, এলগার পরিষদ কাণ্ডে বাংলার বিদ্বজ্জনদের হিরণ্ময় নীরবতা
হানি বাবু ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, "পুলিশ তাঁর বাড়িতে কিছু নির্দিষ্ট বইপত্র খুঁজছিল। আমাদের কাছে স্পষ্ট যে ওরা বইপত্র এবং ইলেকট্রনিক্সের খোঁজে ছিল। ওরা বুকশেলফের প্রত্যেকটা বই পরীক্ষা করেছে, কাবার্ডের দিকে তেমনভাবে তাকায়ই নি। যারা সমালোচক এবং অধিকারের জন্য লড়াই করে তাদের দমিয়ে দেওয়াই এদের উদ্দেশ্য।"
এলগার পরিষদ মামলায় মোট ২৩জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের অভিযোগ এই ধৃতরা সকলেই নিষিদ্ধ ঘোষিত সিপিআই মাওবাদী দলের সদস্য। পুলিশের অভিযোগ, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর শনিবার ওয়াড়ায় এলগার পরিষদের যে একদিনে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, তাতে সাহায্য করেছিল মাওবাদীরা।
এ মামলায় গত বছর জুন এবং অগাস্ট মাসে যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা সকলেই সুপরিচিত অ্যাক্টিভিস্ট এবং আইনজীবী। এঁদের সকলকেই ইউএপিএ-তে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা হলেন সুধীর ধাওয়ালে, সোমা সেন, গ্যা়লিং, রোনা উইলসন, পি ভারভারা রাও, সুধা ভরদ্বাজ, অরুণ ফেরেইরা এবং ভার্নন গনজালভেজ। এঁদের সকলকেই এখন পুনের ইয়েরাওয়াড়া জেলে রাখা হয়েছে।
Read the Full Story in English