সমাজকর্মী গৌতম নওলাখার মুক্তির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাল মহারাষ্ট্র সরকার। দিল্লি হাইকোর্ট দু দিন আগে গৌতম নওলাখার ট্রানজিট রিম্যান্ডের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয়, এবং তাঁকে গৃহবন্দিত্ব থেকেও মুক্তি দেয়। গত ২৯ অগাস্ট থেকে গৌতম নওলাখা গৃহবন্দি ছিলেন। এই মামলা সম্ভবত নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের সামনে উপস্থাপিত হতে চলেছে।
মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় মহারাষ্ট্র সরকারের আইনজীবী বলেছেন, ‘‘ট্র্যানজিট রিম্যান্ডের আবেদন খারিজ করার সঙ্গে সঙ্গে হাইকোর্ট গৃহবন্দিত্বও খারিজ করেছে, যে গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ বাড়িয়েছিল স্বয়ং সুপ্রিম কোর্ট। গ্রেফতারির ব্যপারে সংশয় প্রকাশের সময়ে আদালত পঞ্চনামা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে, যে পঞ্চনামায় খোদ গৌতম নওলাখা নিজেই স্বাক্ষর করেছিলেন।’’
আরও পড়ুন, সুপ্রিম কোর্টই ভরসা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে
সুপ্রিম কোর্ট তার সাম্প্রতিক রায়ে বলেছিল, এলগার পরিষদ কাণ্ডে ধৃত পাঁচজন যথাযথ আদালতে তাঁদের জামিনের আবেদন করতে পারেন। সেই রায়ের পর ৬৫ বছরের সাংবাদিক-সমাজকর্মী গৌতম নওলাখা দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট পাঁচ সমাজকর্মী, গৌতম নওলাখা, ভারভারা রাও, সুধা ভরদ্বাজ, অরুণ ফেরেইরা ও ভারনন গনজালভেজের গ্রেফতারির ব্যাপারে বিশেষ তদন্ত দল গঠনের আবেদন খারিজ করে দেয়। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালত তাঁদের গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ আরও চার সপ্তাহ বাড়িয়ে দিয়েছিল।
সোমবার দিল্লি হাইকোর্ট জানায়, গৌতম নওলাখাকে গ্রেফতারির প্রয়োজনীয়তার জন্য প্রমাণ হিসেবে যেসব জিনিসপত্র দাখিল করার কথা তার ‘অস্তিত্ব’ সম্পর্কে সন্তুষ্ট না হয়েই চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত তাদের নির্দেশ দিয়েছিল। কেস ডায়েরি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে দেওয়া হয়নি এবং গৌতম নওলাখাকে গ্রেফতারির কারণ জানানো হয়নি, বা তাঁকে কোনও আগাম নোটিসও দেওয়া হয়নি, বলেও পর্যবেক্ষণ ছিল দিল্লি হাইকোর্টের।
দিল্লি হাইকোর্ট এও জানিয়েছিল, তদন্তকারী অফিসার যখন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির হয়েছিলেন, তখন সম্ভবত কেস ডায়েরি মারাঠিতে লেখা ছিল, এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট যদি কেস ডায়েরি চাইতেন, তাহলে তা দেখে তিনি কিছুই বুঝতে পারতেন না।’’