এলগার পরিষদ- ভীমা কোরেগাঁও মামলায় সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার সমাজকর্মী গৌতম নওলাখাকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত গ্রেফতারি থেকে সুরক্ষা কবচ দিয়েছে।
Advertisment
বিারপতি অরুণ মিশ্র এবং দীপক গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ মহারাষ্ট্র সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে ১৫ অক্টোবর, পরবর্তী শুনানির দিন গৌতম নওলাখার বিরুদ্ধে যেসব প্রমাণ সংগৃহীত হয়েছে, সেগুলি আদালতে দাখিল করতে হবে।
গৌতম নওলাখা তাঁর বিরুদ্ধে করা এফআইআর নাকচ করার যে আবেদন বম্বে হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন, তা খারিজ হয়ে যাবার পর সুপ্রিম কোর্টে রায় চ্যালেঞ্জ করেছিলেন এই সমাজকর্মী। সেই আবেদনের শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্ট এ কথা বলেছে।
বৃহস্পতিবার পঞ্চম বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি ভাট এ মামলার শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন।
গৌতম নওলাখার আবেদনের শুনানি প্রথম এসেছিল প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে। কোনও কারণ না দেখিয়ে গগৈ ওই মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। পরের দিন এ মামলার শুনানি হবার কথা ছিল বিচারপতি এনভি রামানা, আর সুভাষ রেড্ডি এবং বিআর গভাইয়ের বেঞ্চে। সে তিনজন বিচারপতিও মামলা থেকে নিজেদের অব্যাহতি দেন। এর পর বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি নির্ধারিত হয় বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর এলগার পরিষদ নামে একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয় পুনেতে। পুলিশের অভিযোগ এই জনসভা আয়োজনের ব্যাপারে গৌতম নওলাখা ও অন্যান্য বিশিষ্ট সমাজকর্মীরা নিষিদ্ধ নকশালপন্থী গোষ্ঠী সিপিআই মাওবাদী-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন।
পুলিশের মতে, এলগার পরিষদে যে সব ভাষণ দেওয়া হয়েছিল, তার জেরেই পুনের ভীমা কোরেগাঁওতে লক্ষ লক্ষ লোকের উপস্থিতিতে হিংসাত্মক কার্যকলাপ ঘটে। সে ঘটনায় একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন।
বম্বে হাইকোর্টে নিজের আবেদনে গৌতম নওলাখা বলেছিলেন, তিনি কয়েক দশক ধরে মানবাধিকারের সঙ্গে যুক্ত এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে তাঁর বক্তব্য সংবিধান স্বীকৃত মতপ্রকাশের স্বাধীনতার আওতার মধ্যেই থাকে। তিনি আরও দাবি করেন ২০১১ সালে অতিবাম উগ্রপন্থীদের হাতে অপহৃত কয়েকজন আধিকারিককে মুক্তি দেবার ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য তাঁকে সরকার ডেকে পাঠিয়েছিল এবং তিনি নিজে সর্বদাই অতি বাম হিংসার প্রকাশ্য সমালোচক।
অতিরিক্ত সরকারি কৌঁশুলি অরুণা পাই এই আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন গৌতম নওলাখা নিষিদ্ধ সিপিআই মাওবাদী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য।