এলগার পরিষদ মামলার তদন্তভার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এর আগে এই মামলাটির বিষয়ে পর্যালোচনা করতে পুনে পুলিশের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন উদ্ধব ঠাকরে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জানা গিয়েছিল, পুনে পুলিশ ব্যর্থ হলে এই মামলার তদন্তে সিট গঠন করা হবে। রাজ্য এই মামলা নিয়ে তৎপর হতেই এনআইএ-কে মামলাটি হস্তান্তরিত করল মোদি সরকার।
এর আগে মহারাষ্ট্রের পূর্বতন বিজেপি সরকার ৯ জন সমাজকর্মীকে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে জেলবন্দি করে রাখে। ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি পুনেতে ভীমা কোরগাঁও যুদ্ধের ২০০ বছর পূর্তি উজ্জাপনে হিংসায় মদতের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বিশিষ্ট সমাজকর্মীদের। ভীমা-কোরেগাঁও মামলায় যেসব সমাজকর্মীদের 'আরবান নকশাল' হিসাবে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করেছিল ফড়নবীশ সরকার, ক্ষমতায় আসার পর তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা পুনর্বিবেচনায় তৎপর হয় বর্তমান মহারাষ্ট্র সরকার। ২০১৮ সালের এই মামলায় ধৃতদের রেহাইয়েই জন্য এর আগেও বারবার দাবি জানিয়ে এসেছিল এনসিপি ও কংগ্রেস।
মহারাষ্ট্রের পূর্বতন বিজেপি সরকার রোনা ইউলসন, সোমা সেন, সৌরেন্দ্র গাডলিং, মহেশ রাউত, সুধীর ধাওয়ালে, সুধা ভরদ্বাজ, ভারভারা রাও, ভারনন গঞ্জালভেস ও অরুণ ফেরাইরার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল। শনিবার মহারাষ্ট্রের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সঞ্জয় কুমার এলগার পরিষদ মামলায় এনআইএ তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিৎ করেন। 'ডিজিপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি বিজ্ঞপ্তি পেয়েছে। যেখানে উল্লেখ রয়েছে যে এলগার পরিষদ মামলা এনআইয়েকে হস্তান্তরিত করা হল।' জানিয়েছেন মগারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দফতরের এক আধিকারিক।
আরও পড়ুন: এলগার পরিষদ গ্রেফতারি নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বিশেষ তদন্তদল তৈরির প্রস্তাব শরদ পাওয়ারের
এই ঘটনায় ফের একবার যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করল। রাজ্য সরকারে অনুমতি ছাড়াই এই মামলাটি এনআইএ-কে হস্তান্তরিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। তিনি বলেন, 'এই পদক্ষেপ অসাংবিধানিক। আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। মামলাটির শিকড়ে যখন পৌঁছানোর চেষ্টা হচ্ছে তখনই এতে অনধিকার চর্চা করল কেন্দ্র।' শাসক জোটের নেতা ভানচিত বহুজনের দাবি, 'সত্য ঢাকতেই মোদী সরকারের এই পদক্ষেপ।'
বিরোধী শিবিরের অভিযোগ উড়িয়ে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বিনোদ তাওদে বলেন, 'স্বচ্ছভাবে তদন্তের জন্য এনআইএকে এলগার পরিষদ মামলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিরোধীরা কেন ভয় পাচ্ছে? এনআইএ মোদী বা বিজেপির নয়, একটি স্বাধীন সংস্থা। এখন-তো মনে হচ্ছে আরবান নকশালদের আড়াল করতেই এই বিরোধীতা।'
Read the full story in English