"দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হলেও বাস্তবে প্রযুক্তিগত কারণেই তা জারি করা যাবে না", বললেন অরুণ জেটলি। শুক্রবার অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির কারণেই গণমাধ্যমকে আটকে রাখা যাবে না।
"আবার যদি দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়, খুব স্বাভাবিক কারণেই তা ফলপ্রসু হবে না। সব তথ্যই মানুষ পেয়ে যাবে প্রযুক্তির মাধ্যমে", বললেন জেটলি।
জাতীয় গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে 'ডিজিটাল যুগে সাংবাদিকতায় মূল্যবোধ এবং চ্যালেঞ্জ' নিয়ে ভাষণ দেওয়ার সময় এই মন্তব্য করেন জেটলি। 'প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া'-র পক্ষ থেকে সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য পুরস্কৃত করা হয় অনেককেই। শুক্রবার সেই মঞ্চেই অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি পুরষ্কার বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন, উত্তর সত্য, সাংবাদিকতা এবং আমরা
"গণমাধ্যমের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ স্বাধীন সমাজে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে জনমত গড়ে তোলা", বলেন অরুণ জেটলি। "সংবাদমাধ্যমের প্রতি মানুষের আস্থা কমে গেলে, খবরের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হলে তার চেয়ে খারাপ কিছু হয়না। সংবাদমাধ্যমের কাছে বাক স্বাধীনতার অধিকার থাকার অর্থ কিন্তু এই নয়, দিন রাত কারণে অকারণে শাসক দলের সমালোচনা করে যাবে"।
মন্ত্রীর মতে, "ঘৃণা বা বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা অথবা অনলাইনে কারোর সামাজিক সম্মানহানি জাতীয় অপরাধে ইনফরমেশন টেকনোলজি আইনের ৬৬ (ক) ধারায় আইনি ব্যবস্থার সুযোগ ছিল একসময়। সুপ্রিম কোর্ট ধারাটির সাংবিধানিক প্রয়োগের সুব্যবস্থা করতে পারত, প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে ধারাটির অপপ্রয়োগের রাস্তাও বন্ধ করে দিতে পারত। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালত ধারাটিকেই বাতিল করে দিল। এবং মাত্র দুটি রাস্তাই অগত্যা খোলা থাকল আমাদের জন্য। হয় উপভোগ করা, নয় যন্ত্রণা সহ্য করা"।
অরুণ জেটলির ভাষণের সময় শ্রোতার আসনে উপস্থিত ছিলেন প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া-র সভাপতি সিকে প্রসাদ। হিন্দু পাবলিশিং হাউজ-এর সভাপতি এন রাম কে রাজা রামমোহন রায় সম্মানে ভূষিত করা হয় এই দিন।
Read the full story in English