যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে এবার মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে ভারত। ইউক্রেনের বিশেষ অনুরোধেই এই সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে দেশ। তার মধ্যেই ইউক্রেনের জন্যও মানবিক হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে ভারত। সূত্রের খবর, বুধবার পোল্যান্ড হয়ে ২ টন ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ইউক্রেনে। অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ইউক্রেনে। পাশাপাশি ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে কম্বল, তাঁবু, স্লিপিং ম্যাট, সোলার ল্যাম্প, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক কিট পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। রোমানিয়া হয়ে ১০০টি তাঁবু ও ২৫০০ কম্বল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ইউক্রেনে।সূত্রের খবর, সোমবারই এনিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার একটি জরুরী ভিত্তিতে বৈঠকের পরে এই মানবিক সহায়তা পাঠানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারতীয় বিমান বাহিনীর সি-১৭ এয়ারক্রাফটকে এই সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে মোতায়েন করা হচ্ছে।
অন্যদিকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে হাসপাতালগুলিতে শেষের মুখে অক্সিজেন। এবিষয়ে এবার মুখ খুললেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়াসুস। তিনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন ইউক্রেনে অক্সিজেন সরবরাহ পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। বেশিরভাগ হাসপাতালেই অক্সিজেন প্রায় নিঃশেষ হওয়ার পথে। কিছু হাসপাতালে অক্সিজেন ইতিমধ্যেই শেষ। এর ফলে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা।” বস্তুত গত একমাস ধরে ইউক্রেনে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রয়েছে অন্যান্য দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীও। সব মিলিয়ে বহু মানুষের অক্সিজেন প্রয়োজন। তথ্য বলছে, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে মেডিক্যাল অক্সিজেনের চাহিদা প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। অথচ সরবরাহ নেই।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যাবতীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম, বৃহস্পতিবার পোল্যান্ড সীমান্তে পৌঁছাবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে ইউক্রেনের পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে চলেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। ইতিমধ্যেই দেড় লক্ষ মানুষকে সাহায্য করার জন্য ৬ টন ট্রমা কেয়ার এবং জরুরী অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে তবে কীভাবে সেগুলি পোল্যান্ড সীমান্ত হয়ে ইউক্রেনে পৌঁছাবে তা নিয়ে বুধবার এক সাংবাদিক সম্মলেন হতাশা প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়াসুস। তিনি বলেন, যুদ্ধের আগে ডব্লিউএইচও ইউক্রেনের ২৩টি হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করেছিল, কিন্তু কিয়েভে বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক।