সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় অভিযান চলাকালীন জঙ্গি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, ১৬ এবং ১৭ জুলাইয়ের মধ্যবর্তী রাতে পুঞ্চ জেলার কৃষ্ণাঘাঁটি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নিরাপত্তা বাহিনী দুই জঙ্গিকে হত্যা করেছে। ব্যর্থ করে দিয়েছে এক বড় অনুপ্রবেশের চেষ্টা। তার পরই পুঞ্চ জেলায় জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের খবর সামনে এল।
সেনা বাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) সুরানকোট তহসিলের সিন্দারাহ এবং ময়দানায় লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খুঁজে বের করার জন্য একটি যৌথ অনুসন্ধান অভিযান চালাচ্ছিল। সেই অভিযান শুরু করার কিছুক্ষণ পরেই সেনা ও জঙ্গিদের মধ্যে এনকাউন্টার শুরু হয়।
সেনাবাহিনীর জম্মু-ভিত্তিক হোয়াইট নাইট কর্পস এক টুইট বার্তায় বলেছে, 'নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং এসওজি, জেএমইউকেএমআর পুঞ্চের সুরানকোট তহসিলের কাছে সিন্দারাহ এবং ময়দানা এলাকায় একটি যৌথ কর্ডন এবং অনুসন্ধান অভিযান চালাচ্ছিল।' হোয়াইট নাইট তার টুইটে বলেছে, এই অভিযান চলছিল, লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খুঁজে বের করার জন্য। এই তল্লাশির সময় নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গিদের কাছাকাছি চলে এলেই জওয়ানদের লক্ষ্য করে জঙ্গিরা গুলি চালায়। পালটা গুলি চালান জওয়ানরাও। তার পরই শুরু হয় তীব্র বন্দুকযুদ্ধ।
জম্মু-কাশ্মীরে দীর্ঘদিন সেভাবে কোনও সংঘর্ষের খবর মেলেনি। মোদী সরকারের ইঙ্গিত পেয়ে নিরাপত্তাবাহিনী উপত্যকায় জোরদার অভিযান চালাচ্ছিল। তার ফলে, জঙ্গিরা বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তানে পালিয়ে যেতে। যারা পালায়নি, তারা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে। সম্প্রতি সেই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরাকর জানিয়েছিল যে সরকারের জঙ্গিদমন নীতি ঠিক কতটা সফল হয়েছে।
আরও পড়ুন- জঙ্গিযোগ! কড়া শাস্তির মুখে তিন সরকারি আধিকারিক
একইসঙ্গে সীমান্তপারের সন্ত্রাস নিয়ে বারবার সরব হয়েছে মোদী সরকার। সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গিদের মদত দেওয়া হচ্ছে বলে বারবার অভিযোগ জানিয়েছে। আন্তর্জাতিকস্তরেও সেই অভিযোগ বারবার তুলে ধরেছে মোদী সরকার। তার মধ্যে এবার জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষের অভিযোগ সামনে এল।