বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সব বিশ্ববিদ্যালয়কে এই মাসের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত কামধেনু গো-বিজ্ঞান পরীক্ষায় ভর্তির জন্য পড়ুয়াদের 'উৎসাহিত' করতে বলেছে।
সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের উদ্দেশে একটি চিঠিতে ইউজিসির সচিব প্রফেসর রজনীশ জৈন বলেন, "আমি আপনাদের এই অনুরোধ করছি যে এই উদ্যোগটি যেন আরও সুদূর প্রসারী করা হয়। শিক্ষার্থীরা যেন এই পরীক্ষায় নিজেকে রেজিস্টার করে তার জন্য উৎসাহিত করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।"
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে তাদের অধিভুক্ত কলেজগুলিকে পরীক্ষার বিষয়ে জানাতে বলেছিলেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি অনলাইনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এই পরীক্ষার। এর আগেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পৌঁছে গিয়েছে এই চিঠি। পশুপালন ও দুগ্ধ অধিদফতরের অধীনে গরু রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত সংস্থা জাতীয় কামধেনু আয়োগ দেশব্যাপী পরীক্ষাটি পরিচালনা করছে।
চারটি বিভাগে পরিচালিত হবে - প্রাথমিক স্তর (8 শ্রেণি পর্যন্ত), মাধ্যমিক স্তর (৯ থেকে ১২শ্রেণি), কলেজ স্তর (১২ শ্রেণির পরে) এবং সাধারণ মানুষের জন্য। ইংরেজি এবং হিন্দি ছাড়াও, পরীক্ষাটি ১০টি আঞ্চলিক ভাষায় - গুজরাটি, সংস্কৃত, পাঞ্জাবি, মারাঠি, কান্নদা, মালায়ালাম, তামিল, বাংলা, তেলেগু এবং ওড়িয়াতে অনুষ্ঠিত হবে।
কামধেনু আয়োগ একটি 'রেফারেন্স মেটেরিয়াল' প্রকাশ করেছে। পরীক্ষার্থীদের জন্য ৫৪ পৃষ্ঠার তথ্য দেওয়া হয়েছে। সেখানে গোবরকে 'অ্যান্টিসেপটিক', 'টুথপলিশ' এবং 'অ্যান্টি রেডিওঅ্যাক্টিভ' হিসেবে বলা হয়েছে। এই তথ্য প্রকাশ হতেই তা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যা এই মুহুর্তে আর ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন