দেশে কর্মসংস্থান থাকলেও, বিশেষত উত্তর ভারতে দক্ষ কর্মীর সংখ্যা খুবই কম, মোদী সরকারের ১০০ দিন পূরণ উপলক্ষে লখনউয়ে একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসে এ মন্তব্যই করল কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ার। তিনি বলেন, "এখন খবরের কাগজে সবচেয়ে বেশি যে খবর থাকে তা হল কর্মসংস্থানের খবর। আমরা সেই একই দফতরে কাজ করি এবং তা পর্যবেক্ষণও করি। কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমাদের মন্ত্রকও একই ভাবে কাজ করছে।" তিনি আরও বলেন, "দেশে কর্মসংস্থানের অভাব নেই। তবে উত্তর ভারত থেকে আসা নিয়োগকারীরা প্রায়শই অভিযোগ করেন যে একটি নির্দিষ্ট পদের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতার কর্মী তাঁরা খুব কমই খুঁজে পান। সেই দিকটি বিবেচনা করেই সরকার দক্ষতার বিকাশের দিকে মূল জোর দেওয়ার চেষ্টা করছে এখন।"
#WATCH MoS Labour & Employment, Santosh K Gangwar says, "Desh mein rozgaar ki kami nahi hai. Humare Uttar Bharat mein jo recruitment karne aate hain is baat ka sawaal karte hain ki jis padd (position) ke liye hum rakh rahe hain uski quality ka vyakti humein kum milta hai." (14/9) pic.twitter.com/qQtEQA89zg
— ANI (@ANI) September 15, 2019
মন্ত্রীর অবশ্য বক্তব্য, স্বল্প কর্মসংস্থানের হারের যে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা, তা বেশিদিন স্থায়ী হবে না। তবে সন্তোষ গঙ্গোয়ারের এই বক্তব্যের পরই রাজনৈতিক মহলে উঠছে প্রশ্ন। বিজেপির মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন মন্ত্রীমহাশয় উত্তর ভারতীয়দের উপর দোষারোপ করে ভারতে কর্মসংস্থানের হার হ্রাসের মতো প্রশ্নগুলিকে এড়াতে চাইছেন। একটি টুইট করে কংগ্রেস নেত্রী বলেন, " শ্রদ্ধেয় মন্ত্রী, আপনার সরকার গত ৫ বছর ক্ষমতায় আছে। চাকরির কোনও বৃদ্ধি হয়নি। আপনি উত্তর ভারতীয়দের অপমান করে প্রশ্নটি এড়িয়ে যেতে চাইছেন।"
मंत्रीजी, 5 साल से ज्यादा आपकी सरकार है। नौकरियाँ पैदा नहीं हुईं। जो नौकरियाँ थीं वो सरकार द्वारा लाई आर्थिक मंदी के चलते छिन रही हैं। नौजवान रास्ता देख रहे हैं कि सरकार कुछ अच्छा करे।
आप उत्तर भारतीयों का अपमान करके बच निकलना चाहते हैं। ये नहीं चलेगा।https://t.co/2f9ZhGmVoT
— Priyanka Gandhi Vadra (@priyankagandhi) September 15, 2019
তবে প্রিয়াঙ্কার এই টুইটের পরই নিজের বক্তব্যর অবস্থান পরিষ্কার করতে তৎপর হন সন্তোষ গঙ্গোয়ার। এএনআই সংবাদসংস্থায় বলা হয়, তাঁর বক্তব্যের প্রসঙ্গ সম্পূর্ণ আলাদা ছিল। যুবকদের মধ্যে দক্ষতার অভাব ছিল। যার জন্য সরকার চাকরি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় দক্ষতা মন্ত্রক চালু করেছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতের গাড়ি বাজারে মন্দা এনেছে দেশের নতুন প্রজন্মের নাগরিকদের মানসিকতা, এমন মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। কারণ হিসেবে যথেষ্ট পরিমাণ গাড়ি না কিনে অ্যাপ-ভিত্তিক ক্যাব ব্যবহার করাকেই দায়ী করেছিলেন তিনি। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের অবশ্য মত, দেশের অর্থনৈতিক চিন্তা থেকে কর্মসংস্থান হ্রাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলিকে আড়াল করতেই এ ধরনের মন্তব্য করছেন পদ্ম শিবিরের মন্ত্রীরা।
Read the full story in English