Advertisment

‘ডোর টু ডোর ভ্যাকসিনেশন নিশ্চিত করুন’, টিকাদানে গতি বাড়াতে টোটকা দিলেন মোদি

PM Modi: স্থানীয় কিছু ধর্মগুরু প্রান্তিক মানুষদের মধ্যে করোনা টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
UP to soon become medical hub of India says PM Modi

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

PM Modi: এতদিন আপনারা মানুষদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এনেছেন, টিকা দিয়েছেন। এবার বাড়ি-বাড়ি গিয়ে টিকাদানের ব্যবস্থা করুন। স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এই আবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার তিনি টিকাদানের হারে পিছিয়ে দেশের এহেন জেলাগুলোর আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই ডোর টু ডোর ভ্যাক্সিনেশনের পক্ষে সওয়াল করেন। স্থানীয় কিছু ধর্মগুরু প্রান্তিক মানুষদের মধ্যে করোনা টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। সেই বিভ্রান্তি দূর করতেও স্বাস্থ্যকর্মীদের এগিয়ে আসার ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisment

তাঁর মন্তব্য, ‘প্রতি জেলায় ১০০% টিকাকরণ সম্পন্ন করতে জেলাকর্তারা অভিনব উপায় বের করুক। এখনও পর্যন্ত একাধিক রাজ্যে প্রথম দফায় ১০০% টিকাকরণ সম্পন্ন করেছে। কিন্তু ভৌগলিক ভাবে এমন অনেক জায়গা আছে সেখানে এখনও পৌছন যায়নি। আমার আশা খুব দ্রুত সেই প্রতিবন্ধকতা দূর হবে।‘

দেশব্যাপী টিকাকরণে জোর দিতে তাঁর পরামর্শ, ‘প্রয়োজনে ২০-২৫ জনের দল তৈরি করুন। প্রত্যেক দলকে লক্ষ্য বেঁধে দিন। একটা ইতিবাচক প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি হোক। দেশের প্রতি জেলার প্রতি শহর এবং প্রতি গ্রামের জন্য পৃথক উপায় সামনে আনুন। রোগ এবং সত্রুকে নাশ করতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করা উচিত।‘

এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী দেশের আশা কর্মীদের কুর্নিশ জানান প্রত্যন্ত অঞ্চলে পায়ে হেঁটে গিয়ে টিকাকরণ সম্পন্ন করানোর জন্য।  এদিকে, কোভ্যাক্সিনে সবুজ সংকেত অস্ট্রেলিয়ার। এবার থেকে ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআর-এর বিজ্ঞানীদের তৈরি এই করোনা টিকা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ঢোকার অনুমোদন মিলবে। যদিও কোভ্যাক্সিনকে এখনও করোনার ভ্যাকসিন হিসেবে মান্যতা দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে শীঘ্রই সেই ছাড়পত্রও মিলবে বলে আশাবাদী ভারত বায়োটেক। গত সোমবারই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়, কোভ্যাক্সিনের উপর ভারত বায়োটেকের কাছ থেকে “একটি অতিরিক্ত তথ্য” চাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনটির অনুমোদনের ব্যাপারে যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে দিয়েছেন WHO (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা)-এর বিশেষজ্ঞরা।

সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করোনা টিকা কোভ্যাক্সিন। হায়দরাবাদের ওষুধ সংস্থা ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআর-এর বিজ্ঞানীরা বানিয়েছেন এই করোনা টিকা। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিশিল্ড (ভারতে যে টিকা বানাচ্ছে সেরাম ইন্সটিটিউট)-এর পাশাপাশি ভারতে কোভ্যাক্সিনের প্রয়োগ চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই টিকাকে স্বীকৃতি দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে WHO-এর স্বীকৃতি মেলার আগেই অজি সরকার ভারতে তৈরি এই টিকায় ছাড়পত্র দিয়ে দিল। অস্ট্রেলিয়ান সরকার সোমবার জানিয়েছে, কোভ্যাক্সিন-কে করোনার আরও একটি স্বীকৃত টিকা হিসেবে মান্যতা দেওয়া হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়া সরকারের ভ্যাকসিন নিয়ন্ত্রণ ও অনুমোদনকারী সংস্থা থেরাপিউটিক গুডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (TGA)। সংস্থার তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে TGA এই ভ্যাকসিনটি সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য পেয়েছে। সেই তথ্যে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে এই ভ্যাকসিন করোনা এড়াতে সুরক্ষা প্রদান করে। এই ভ্যাকসিনটি নিলে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যাবে। আগত ভ্রমণকারীদের আগে থেকে এই টিকা নেওয়া থাকলে অস্ট্রেলিয়ায় থাকাকালীন তাঁদের থেকে করোনার সংক্রমণ অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। টিকা প্রস্তুতকারক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে টিজিএ-কে ইতিমধ্যেই সহায়ক তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে।”

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Asha Worker Door to Door PM Modi Vaccination Drive Mass Vaccination drive in India
Advertisment