Advertisment

ধর্মীয়স্থানে মহিলাদের প্রবেশের ছাড়পত্রে 'একক নিয়ম' চালুর পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট

এমনকী দাউদি বোরা সহ পবিত্রস্থানে প্রবেশের ক্ষেত্রে মহিলাদের যোনি ক্ষতের রীতি প্রচলিত রয়েছে। ফলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ে ধর্মীয়স্থানে মহিলাদের প্রবেশের ছাড়পত্রের বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা উচিত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সুপ্রিম কোর্ট

ধর্মীয়স্থানে মহিলাদের প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে 'একক নীতি' থাকা উচিত। বৃহস্পতিবার শবরীমালা পুনর্বিবেচনা মামলায় রায়দেনের সময় এই মতামত ব্যাক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, শবরীমালার আয়াপ্পা মন্দিরেই শুধু নয়, মহিলাদের মসজিদে প্রবেশের ক্ষেত্রেও বাধা রয়েছে। এমনকী দাউদি বোরা সহ পবিত্রস্থানে প্রবেশের ক্ষেত্রে মহিলাদের যোনি ক্ষতের রীতি প্রচলিত রয়েছে। ফলে পবিত্রস্থানে মহিলাদের প্রবেশের ছাড়পত্রের বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা উচিত।

Advertisment

আরও পড়ুন: শবরীমালা: মহিলাদের প্রবেশাধিকারের ইস্যু সাত বিচারপতির বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট

শবরীমালা মন্দিরে যে কোনও বয়সের মহিলাদের প্রবেশাধিকার নিয়ে আপাতত কোনও রায় দিল না সর্বোচ্চ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ। মামলাটি পাঠানো হল শীর্ষ আদালতের বৃহত্তর বেঞ্চে। সেখানে ৭ বিচারপতির তত্বাবধানে এই মামলার রায়দান হবে। আজ এই নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ। এই মামলার রায় পড়তে গিয়ে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বেশ কয়েকটি দৃষ্টান্তের কথা তুলে ধরেছেন। তাঁর মতে, শুধু হিন্দু মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকারই সীমাবদ্ধ, এমনটা নয়। মসজিদের ক্ষেত্রেও একই কঠোর নিয়ম আছে। পার্সি মহিলাদের মামলা এবং দাউদি বোরা মামলার বিষয়ও একই। এই সব মামলা আদালতে বিচারাধীন। এধরনের ধর্মীয় বিষয় শীর্ষ আদালতের বিচারের আওতায় আসে কি না, তাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

মসজিদে প্রবেশের অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়। সেই মামলা বিচারপতি এস এ বোবদে নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ মুলতুবি করে দেয়। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে শবরীমালার রায় প্রকাশের পর এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন পুণের এক দম্পতি। মামলাকারীদের মতে, নিষেধাজ্ঞা বিষয়টি অসাংবিধানিক ও ব্যক্তির মৌলিক অধিকার ও লিঙ্গ ন্যায় বিচারের বিরোধী। এই মামলার ঘিরে ক্ষোভের আঁচ পায় সুপ্রিম কোর্ট। ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে মহারাষ্ট্র ওয়াকফ বোর্ড, অল ইন্ডিয়া পার্সোনাল ল'বোর্ড ও সেন্ট্রাল ওয়াকফ কাউন্সিল।

আরও পড়ুন: বিচারপতি চন্দ্রচূড় ও নারিমানের ভিন্নমতেই শবরীমালা মামলা গেল বৃহত্তর বেঞ্চে

দাউদি বোরা সম্প্রদায় সহ এশিয়া ও আফ্রিকার মহিলাদের যোনি ক্ষতের রীতি প্রচলিত রয়েছে। মহিলাদের যৌন ইচ্ছে নিয়ন্ত্রণের জন্যই এই প্রথা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে যে চার প্রকার যোনি ক্ষতের কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে দু'টি ভারতে প্রচলিত রয়েছে। হু-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী এশিয়া, আফ্রিকা, মধ্য-প্রাচ্যের প্রায় ৩০টি দেশের ২০০ মিলিয়ান মহিলা এইভাবে বসবাস করেন। গত বছর সুপ্রিম কোর্টে ব্যক্তির মৌলিক আধিকারের কথা বলে এই প্রচলিত ধারাকে রোধ করার আবেদন জানানো হয়। আবেদনটি ২০১৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হয়েছিল।

Read the full story in English

supreme court Sabarimala
Advertisment