করোনা অতিমারীর জের এবং লকডাউনের ফলে বহু নিয়মেই বদল এসেছে। ব্যতিক্রম নয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রকও। এহেন পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের পরিবেশ প্রভাবিত হওয়ার মূল্যায়ণ খসড়া তৈরি করতে (Environment Impact Assessment) সময়ের সমস্যায় পড়ল পরিবেশমন্ত্রক। পরিবেশ নিয়ে নিজেদের অভিযোগ এবং পরামর্শ জানাতে চেয়ে সময় বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে হাজার হাজার পরিবেশপ্রেমীরা। সেই আবেদনের উল্লেখ করে মন্ত্রকের দেওয়া সময়সীমা আরও ২ মাস বৃদ্ধি করে অগাস্টের ১০ তারিখ খসড়া জমার দিন ধার্য করার আবেদন জানান হয় পরিবেশ মন্ত্রী প্রকাশ জাভেদকরকে।
যদিও ৫ মে পরিবেশমন্ত্রী খসড়া জমার সময়সীমা বৃদ্ধি করে ৩০ জুন এই খসড়া প্রস্তুতের দিন ধার্য করে দেন। যদিও এখন মন্ত্রকের তরফে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। সরকারি নথিপত্রে দেখা যাচ্ছে যে মন্ত্রকের আধিকারিকরা পাবলিক নোটিসের সময়সীমা আরও ৬০ দিন বৃদ্ধির প্রস্তাব জমা দিয়েছিলেন। এই মূল্যায়ণ বিলের বিজ্ঞপ্তি ছাপার জন্য তা ২৩ মার্চ সরকারি প্রেসে যায়। কিন্তু লকডাউনের ফলে কর্মচারীরা সকলে উপস্থিত না থাকার দরুণ সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ১১ এপ্রিল।
এখন, পরিবেশ (সুরক্ষা) বিধি, ১৯৮৬ -এর নিয়ম ৫ (৩) অনুসারে "যে তারিখে বিজ্ঞপ্তি সম্বলিত গেজেটের একটি প্রতিলিপি জনসাধারণের জন্য উপলব্ধ হয়" সেই দিনের থেকে ৬০ দিন সময়কাল শুরু হবে, এমনটাই নিয়ম। সেই মোতাবেক ১১ এপ্রিল থেকে যদি নোটিস সময়সীমা শুরু হয় তাহলে তা শেষ হবে ১০ জুন। তবে আধিকারিকদের প্রস্তাবিত সময়ের দাবি ৬০ দিনের বদলে তা ২০ দিন বৃদ্ধি করে মন্ত্রী প্রকাশ জাভেডকর পরিবেশ প্রভাবিত হওয়ার মূল্যায়ণ খসড়ার শেষ দিন ধার্য করেন ৩০ জুন।
সরকারি নথিপত্রে দেখা যায় যে এপ্রিলের ২০ তারিখ অবধি মন্ত্রকে যে মেইল এসেছে তার মধ্যে ৪৬টি মেইল পরিবেশ বিষয়ক প্রস্তাবনার এবং ১১৪৪টি মেইল এসেছে খসড়ার সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন চেয়ে। রেকর্ডস-এ এও দেখা যায় যে জয়েন্ট সেক্রেটারিও নোটিস পিরিয়ডের সময়সীমা বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়ে লেখেন, "একাধিক স্বাক্ষরিত প্রস্তাব এসেছে মন্ত্রকে। যেহেতু এই পরিবেশ মূল্যায়ণের বিজ্ঞপ্তি এবং এর যে কোনও পরিবর্তন সামগ্রিকভাবে দেশের পরিবেশ ব্যবস্থাপনার জন্য এবং প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ এবং ব্যবহারের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, তাই সময়সীমা পুনর্বিবেচনার অনুরোধে এই সকল আবেদনের যথাযোগ্যতা আছে।"
দেখা গিয়েছে সময়বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে মন্ত্রীর অফিসে এই ফাইল ৪ মে জমা দেওয়া হয়। ৫ মে মন্ত্রী প্রকাশ জাভেদকর সময়সীমা বৃদ্ধি করে তা ৩০ জুন ধার্য করেন এবং তা স্বাক্ষরও করেন।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন