ওড়িশা পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা (EOW) ভুবনেশ্বরের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাউন্টারে ২ হাজার টাকার নোট পাল্টানোর জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাঁরা অন্যদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন কিনা তা খুঁজে বের করার জন্যই এই অভিযান চলে বলে জানিয়েছেন EOW-এর এক আধিকারিক।
ওড়িশার EOW-র একটি দল ভুবনেশ্বরে আরবিআই কাউন্টারে পৌঁছে গিয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, যে এক শ্রেণির ব্যক্তি পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে ২ হাজার টাকার নোট বদলাতে এসেছিলেন। আরবিআই কাউন্টারে প্রতি ২০ হাজার টাকা বদলে মজুরি হিসেবে ৩০০ টাকা করে মিলেছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।
ওড়িশার EOW-এর এক আধিকারিক বলেন, "মিডিয়া রিপোর্টের পরে আমরা এখানে এসেছি। আরবিআইয়ের কাউন্টারে যাঁরা ২ হাজার টাকার নোট বদলাতে এসেছিলেন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আমরা তাঁদের আধার কার্ড যাচাই করেছি এবং তাঁদের পেশা সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করেছি।"
অন্য একজন আধিকারিক বলেছেন, "অনেককেই ১০টি করে ২ হাজার টাকার নোট বদলাতে দেখা গিয়েছে। কীভাবে একটি লাইনের অধিকাংশ লোকের কাছে ১০টি করেই ২ হাজারের নোট ছিল? লাইনে দাঁড়ানো লোকজন কি তাঁদের টাকাই পাল্টাতে এসেছিলেন, নাকি অন্য কেউ বা কারা তাঁদের এই কাজ করতে পাঠিয়েছিলেন, এটা নিয়ে সন্দেহ থেকেই গিয়েছে।" ওড়িশা পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার কর্মীরা সিসিটিভি ফুটেজও পরীক্ষা করে দেখেছেন। এমনকী নোট বদল করতে আসা ব্যক্তিদের ছবিও তোলা হয়েছে।
এদিকে, আরবিআইয়ের আঞ্চলিক পরিচালক এসপি মোহান্তি বলেন, "কোনও EOW কর্মকর্তা আমার সঙ্গে দেখা করেননি। তাঁরা লাইনে দাঁড়ানো কয়েকজন ব্যক্তিকে কিছু সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। কোনও তদন্তকারী সংস্থা যদি কোনও ব্যাখ্যা চাইতে আসে তাহলে আমরা সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব।"