মার্কিন এয়ারস্ট্রাইকে কাশিম সোলেইমানির মৃত্যুর পর ইরাকের কুদস বাহিনীর প্রধান হচ্ছেন ইসমাইল ঘানি। সোলেইমানির ডেপুটি ছিলেন ঘানি। উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোররাতে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ারস্ট্রাইকে প্রাণ হারান সোলেইমানি। মার্কিন প্রসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই হত্যা করা হয়েছে ইরানের রেভলিউশনারি গার্ড মেজর জেনারেল কাশিম সোলেইমানিকে, এমনটাই জানায় পেন্টাগন।
Advertisment
এ প্রসঙ্গে এদিন আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স জানিয়েছে, ‘‘আমেরিকার কূটনীতিক ও ইরাকে কর্মরতদের উপর হামলার সক্রিয় হামলার পরিকল্পনা করছিলেন কাশিম সোলেইমানি। তাঁর কুদস বাহিনীর আক্রমণেই শতাধিক মার্কিন ও যৌথ বাহিনীর জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেনবহু’’।
ইরানের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের মধ্যে কাশিম সোলেইমানি ছিলেন অন্যতম। মধ্যপ্রাচ্যের সবচয়ে ক্ষমতাবান জেনারেল হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীও ছিলেন তিনি। নিজের দেশে সম্মানিত ও মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধক্ষেত্রে আতঙ্কবাহী নাম হলেও সোলেইমানি পশ্চিমে ছিলেন প্রায় অপরিচিত। কথিত আছে, আজকের ইরানকে পুরোপুরি বুঝতে গেলে আগে কাশিম সোলেইমানিকে জানা দরকার। ওমান উপসাগর থেকে ইরাক, সিরিয়া লেবানন হয়ে ভূমধ্যসাগরের পূর্ব উপকূল পর্যন্ত এলাকা যা ইরানে প্রতিরোধের অক্ষ নামে পরিচিত, তার স্রষ্টা ছিলেন এই সোলেইমানি। ১৯৫৭ সালের ১১ মার্চ কেরমান প্রদেশের পার্বত্য গ্রামে জন্ম নেন সোলেইমানি। এ এলাকা ইরানের উত্তরপূর্বে অবস্থিত, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তের কাছেই। মার্কিনরা বলেছে, তাঁর জন্ম ইরানের ধর্মীয় রাজধানী কুওমে। সোলেইমানির শৈশব সম্পর্কে বিশদে কিছু জানা যায় না, যদিও ইরানের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, সোলেইমানির বাবা ছিলেন একজন কৃষক। তিনি শাহ মহম্মদ রেজা পহ্লবির কাছ থেকে এক খণ্ড জমি পেলেও পরে দেনার দায়ে জড়িয়ে পড়েন।