মধ্যরাত থেকেই গোটা দেশজুড়ে জারি হয়েছে লকডাউন। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সংগ্রহে বিভিন্ন বাজারে মানুষের ভিড়। এদিকে, লকডাউন দারির সঙ্গে সঙ্গেই এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে প্রবেশ করতে পারছে না পন্যবাহী ট্রাক। মালবাহী ট্রেন চলাচলে ছাড় রয়েছে। তবে রাজ্যগুলির নিজস্ব ফতোয়ার মালবাহী ট্রেন চালাচলও আটকে পড়েছে। বিভ্রান্তির জেরে বহু জায়গায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের গাড়িও আটকে দেওয়া হচ্ছে। গ্রোফারস এবং বিগ বাস্কেটের মতো বড় অনলাইন চেনগুলিও তাদের সরবরাহ বন্ধ রেখেছে।
গ্রোফারসের সিইও আলবিন্দার ধিন্দসা টুইটে জানিয়েছেন যে, ফরিদাবাদে প্রশাসন থেকে তাদের গুদাম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লকডাউনের সময় সংস্থা বন্ধ করা হয়েছে। পুলিশ তাদের ডেলিভারি বয়'দের চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলে জানিয়েছেন বিগ বাস্কেটের কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ‘হোমডেলিভারি, সবজিওয়ালাকে আটকালে কড়া ব্য়বস্থা’, লকডাউনে নির্দেশ মমতার
অনলাইন ওষুধ বিক্রির সংস্থা ওয়ান এমজির প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত ট্যান্ডন জানিয়েছেন, হায়দ্রাবাদ, দিল্লি, লখনউ, বেঙ্গালুরুতে প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারীকে মারধর করা হয়েছে। ফ্লিপকার্টও তাদের ডেলিভারি ডেট পিছিয়ে দিচ্ছে। রেলের তরফে ক্যাবিনেট সচিবকে তার কর্মীদের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। প্রায় ৫,০০০ মালবাহী ট্রেন পরিস্থিতি সচল রাখতে কাজ করছে। ট্রেন আটকে যাওয়ার ফলে রেলের ক্ষতি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ২১ দিনের লকডাউনে প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের জোগান দিতে ভারত কতটা প্রস্তুত?
বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি অসুবিধান কথা মেনে নিয়েছেন বাংলা, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ থেকে বিহারগামী পণ্যও আটকে গিয়েছে বলা জানিয়েছেন তিনি।
অল ইন্ডিয়া মটর ট্রান্সপোর্ট কংগ্রেস তরফে কুলতরণ সিং আটওয়াল জানিয়েছেন, বেশিরবাগ ট্রাকই বিহার, বাংলা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় সীমানায় আটকে পড়েছে। ফলে সমস্যা দেখা দিয়েছে। পণ্যবাহী বিমান চলাচলও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যা আরও গভীর হয়েছে। বন্দরেও করোনা আক্রান্ত দেশগুলি থেকে জাহাজ প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে।
স্তব্ধ সবকিছু। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাল পড়তে পারে বলে আশঙ্কায় মানুষ।
Read the full story in English