ট্রেনের বাতানুকূল কামরায় আর কম্বল, বালিশ, তোয়ালে ও গায়ের চাদর দেওয়া হবে না। রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে। এমনকী মহামারীর ভ্রুকুটি কাটলেও তা দেওয়া নাও হতে পারে। তবে, আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও এই সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেনি রেল।
সম্প্রতি রেল বোর্ডের শীর্ষ কয়েকজন কর্তা জোনাল ও ডিভিশনাল আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। সেখানেই ট্রেনের বাতানুকূল কামরায় কম্বল, বালিশ, তোয়ালে ও গায়ের চাদর না দেওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। বৈঠকে অংগ্রহণকারী রেলের এক আধিকারিকের কথায়, 'সেগুলো বন্ধ হতে পারে, আপাতত সেই সিদ্ধান্তের পথেই আমরা এগোচ্ছি।'
সূত্রের খবর, লিনেন কাপড় ধোয়ার জন্য দেশজুড়ে বিল্ড-অপারেট মেকানাইজড মেগা লনড্রিগুলোর কী হবে তা নির্ধারণে একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
এক একটি লিনেন কাপড়ের সেট ধুতে খরচ হয় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বর্তমানে প্রায় ১৮ লক্ষ লিনেন সেট রয়েছে। এক একটি কম্বলগুলো চার বছর ব্যবহার করা হয় ও মাসে একবার ধোয়া হয়ে থাকে। রেলের তরফে দেওয়া চাদর, কম্বল, বালসিশের মান নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন ওঠে। এমনকী সংসদেও তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
করোনায় গত পাঁচ মাসের উপর রেলের স্বাভাবিক পরিষেবা বন্ধ। ফলে আয় প্রায় নেই বললেই চলে। এই পরিস্থিতিতে খরচ কমাতে নিয়োগ বন্ধ (সুরক্ষা ব্যাতীত) থেকে একাধিক পদগের বিলুপ্তিকরণের ঘোষণা করছে রেলমন্ত্রক। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন হতে পারে বাতানুকূল কামরায় আর কম্বল, বালিশ, তোয়ালে ও গায়ের চাদর না দেওয়া।
গত কয়েক মাস ধরেই ২০টি রেলের ডিভিশনের তরফে বেসরকারি ভেন্ডারদের কম খরচে নিষ্পত্তিযোগ্য (একবার ব্যবহার করা যায় বা ডিসপোজেবল) বালিশ, কম্বল, তোয়ালে ও গায়ের চাদর সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। অত্যাধুনিক নিয়ন্ত্রিত শীতাতপ যন্ত্রের ফলে এখন কামরায় চাদরের বিশেষ প্রয়োজন হবে না বলেও মত এক রেল আধিকারিকের।।
এ প্রসঙ্গে রেলের মুখপাত্র বলেছেন, 'এখনও এই বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কোভিড পরিস্থিতির জন্য এই মুহূর্তে কোনও লিনেন দেওয়া হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসব নিয়ে পর্যালোচনা হবে। তাই জল্পনার ভিত্তিতে কোনও মন্তব্য করা সম্ভভ নয়।'
করোনা আবহে বিশেষ ট্রেন চললেও সেখানে রান্না করা খাবারের বদলে প্যাকেটজাত খাবার দেওয়া হচ্ছে। করোনা কেটে গেলেও এই নিয়ম আরও কয়েকদিন বলবৎ থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে। আগামীতে প্যাকেজড ফুড যাত্রীদের সরবরাহ করা যায় কিনা তাও খতিয়ে দেখা হতে পারে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন