নতুন দুই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করলো জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, দাবি মোদী সরকারের। তবে, উপত্যাকা স্তব্ধ। চলছে না যানবাহন। বন্ধ দোকানপাট। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আংশিক বন্ধ যোগাযোগ ব্যবস্থা। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে খুশি নয় কাশ্মীরিরা। ভূস্বর্গের স্তব্ধতা যেন সেই বার্তাই দিচ্ছে।
গত তিন ধরে একই ছবি। শ্রীনগরে যানবাহন চলছে হাতেগোনা। রাস্তার ধারে বসেনি হকাররা। বাজারহাট বন্ধ। দিন কয়েক আগেও এই পরিস্থিতি ছিল না। ফের যেন কার্ফুর চেহারায় ফিরে গিয়েছে উপত্যকা।
আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির সিদ্ধান্ত সর্দার প্যাটেলকে উৎসর্গ করলেন মোদী
কাশ্মীর চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি শেখ আশিকের কথায়, 'ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম এরাজ্য ভেঙে দু'টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হল। মানুষ এই পরিবর্তন নিয়ে বিভ্রান্ত। তিন মাস কেটে গিয়েছে। তবু অবস্থার হেরফের খুব একটা হয়নি। ব্যবসা বাণিজ্য ধুঁকছে। দোকান, যানবাহন বন্ধ। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে মানুষ কেন্দ্রীয় পদক্ষেপকে মানতে পারেনি।' শেখ আশিককে বৃহস্পতিবার উপ-রাজ্যপালের শপথে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত ছিলেন জম্মুর চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি রাকেশ গুপ্তা।
আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপের টার্গেট লিস্টের বেশিরভাগই ভারতের মানবাধিকার আইনজীবী, সাংবাদিক ও অধ্যাপক
শ্রীনগরের অধ্যাপক নুর বাবা জানিয়েছেন, 'উপত্যাকাবাসী কেন্দ্রের এক তরফা সিদ্ধান্তে একেবারেই খুশি নয়। দিল্লি বলছে এর ফলে কাশ্মীরের উন্নয়ন হবে। কিন্তু, তা মনে করেন না এখানকার বাসিন্দারা। কেন এটা হল সবাই আন্দাজ করতে পারছে। এত দিন ধরে স্কুল, কলেজ, যানবাহন সব বন্ধ। এই অবস্থা আগে হয়নি।' জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের আইনজীবী নাসিম কাদরির কথায়, 'কাশ্মীরিরা মনে করছ তাদের বিশেষ অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।' ডাক্তারি পড়ুয়া মহম্মদ বারজিস জানালেন, 'কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের ফলে কোনও কিছুই কি বদলাবে? মনে হয় না। কাশ্মীরিদের কাছে এটা একটা কালো দিন।'
Read the full story in English