প্রয়াগরাজে হাঙ্গামার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মহম্মদ জাভেদের বাড়ি ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন। সেই দৃশ্য সম্প্রচারিত হয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। যার জেরে এখন তোলপাড় গোটা দেশ। হিন্দুত্ববাদীদের একাংশ ঘটনায় বেশ উত্তেজিত এবং উত্সাহিত। অনেকে রীতিমতো হাততালি দিচ্ছেন। ঘনিষ্ঠ মহলে খোলাখুলি বলছেন, 'ঠিক করেছে যোগী সরকার।'
কিন্ত, সেসব বললেও আদৌ এভাবে বাড়ি ভাঙা কি আইনসঙ্গত? উত্তরটা হল কিন্তু, 'না'। আর, এনিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। এলাহাবাদ হাইকোর্ট, মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে বুলডোজার দিয়ে এভাবে বাড়ি ভাঙার বিরুদ্ধে। বিষয়টা বিচারাধীন।
তবে, আইন বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, অভিযুক্তের বাড়ি এভাবে বুলডোজার দিয়ে ভাঙা মোটেও আইনসম্মত নয়। এই ব্যাপারে এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, 'এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। আর যদি মনেও হয় যে ওই বাড়িগুলো সম্পূর্ণ বেআইনি, তবুও এভাবে বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ভাঙা যায় না। কারণ, অভিযুক্ত হেফাজতে রয়েছে। এটা আইনি প্রশ্নের ব্যাপার।'
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এভাবে বাড়ি ভাঙা পুরআইন এবং নগরোন্নয়ন আইনের বিরোধী। আর, সেই কারণেই বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ভাঙায় নাগরিকের মৌলিক অধিকার ভঙ্গ হয়েছে। আর, সেই অভিযোগেই ইতিমধ্যেই আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, বেছে বেছে কেবল নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষদের বাড়িই বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হচ্ছে। পাশাপাশি, বহু জায়গায় নোটিস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, উত্তর দেওয়ার সময়সীমা মানা হয়নি। তার আগেই বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- ইডি দফতরে রাহুলের হাজিরা ঘিরে উত্তাল দিল্লি, আটক একাধিক কংগ্রেস নেতা-কর্মী!
গত ২১ এপ্রিল, সুপ্রিম কোর্টও দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে বাড়ি ভাঙার বিরুদ্ধে স্থিতাবস্থা জারি করেছে। যদিও তার পরও বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উত্তর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি বিআর গাভাই জানিয়েছেন, আইন মেনে বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে আদালত।
Read full story in English