রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের অনুমোদনে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত হওয়ায় এক দিন পরই মঙ্গলবার গগৈ বলেন কেন তিনি রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনয়ন গ্রহণ করেছিলেন তা তিনি শীঘ্রই প্রকাশ করবেন।
মঙ্গলবার সংবাদসংস্থা এএনআইকে রঞ্জন গগৈ বলেন, "আমি আগামীকাল সম্ভবত দিল্লি যাব। আমাকে প্রথমে শপথ নিতে দিন তারপরে আমি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বিস্তারিতভাবে কথা বলব। কেন আমি এটি মেনে নিয়েছি এবং কেন আমি রাজ্যসভায় যাচ্ছি সে বিষয়েও কথা বলব।" প্রসঙ্গত, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গগৈ-ই হলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির মনোনয়ন পেলেন। এর আগে ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস আমলে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঙ্গনাথ মিশ্রাকে রাজ্যসভার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। ১৯৯৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ফতিমা বিবিকে তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল নিযুক্ত করা হয়। এর আগে মোদী সরকারের প্রথম জমানায় ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের আর এক প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি পি সথাশিবমের অবসরের পর তাঁকে কেরলের রাজ্যপাল নিযুক্ত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বামেদের জন্য সুখবর, সাংসদ হচ্ছেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য
এদিকে, দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির রঞ্জন গগৈয়ের রাজ্যসভায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কংগ্রেস মুখপাত্র রনদীপ সুরজেওয়ালা টুইটে লেকেন, ‘ভারতের বিচারবিভাগের প্রতি দেশবাসীর আস্থার অভাব ক্রমবর্ধমান। যা গগৈ-এর মনোনয়ন তরান্বিত করল।’ প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে বিজেপি নেতা ও বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেছিলেন যে, ‘অবসরের পর বিচারপতিদের হিল্লে করতে আমরা অনেকটাই অগ্রসর হয়েছি। অবসর গ্রহণের পরের চাকরির ইচ্ছে অবসের পূর্ববর্তী রায়গুলিকে প্রভাবিত করে।’
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন