প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের অনুমোদনে রাজ্যসভায় মনোনীত হলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। সোমবার, কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই খবর জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ, রাজ্যসভার এক সদস্যের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সেখানে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গগৈকে রাজ্যসভার সদস্য করা হচ্ছে।
Advertisment
গত বছর নভেম্বরের ১৭ তারিখ প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেন রঞ্জন গগৈ। প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়েছেন বিচারপতি গগৈ। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, আসাম এনআরসি, তাৎক্ষণিক তিন তালাক প্রথা বন্ধ করা, শবরীমালা, রাফালে মামলার রায়, অযোধ্যা মামলার রায়। প্রধান বিচারপতি থাকালীন রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলেন তাঁরই দফতরের এক কর্মী। যা নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ বসানো হয়। সব দিক খতিয়ে দেখে বেঞ্চ জানায়, গগৈয়ের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ মিথ্যা।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞপ্তি
প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গগৈ-ই হলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির মনোনয়ন পেলেন। এর আগে ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস আমলে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঙ্গনাথ মিশ্রাকে রাজ্যসভার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। ১৯৯৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ফতিমা বিবিকে তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল নিযুক্ত করা হয়। এর আগে মোদী সরকারের প্রথম জমানায় ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের আর এক প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি পি সথাশিবমের অবসরের পর তাঁকে কেরলের রাজ্যপাল নিযুক্ত করা হয়েছিল।
Advertisment
দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির রঞ্জন গগৈয় রাজ্যসভায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কংগ্রেস মুখপাত্র রনদীপ সুরজেওয়ালা টুইটে লেকেন, 'ভারতের বিচারবিভাগের প্রতি দেশবাসীর আস্থার অভাব ক্রমবর্ধমান। যা গগৈ-এর মনোনয়ন তরান্বিত করল।' এআইএমআইএম প্রধান ও লোকসভার সদস্য আসাউদ্দিন ওয়াইসি জানান, 'বিচারপতিদের নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতার উপর কীভাবে দেশবাসী আস্থা রাখবেন? এর ফলে বহু প্রশ্ন উঠছে।' বাজপেয়ী আমলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ।শবন্ত সিনবার বলেন, 'আশা করি প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ রাজ্যসভা আসনের প্রস্তাটিকে না বলার মতো ভাল ধারণা পোষণ করবেন। অন্যথায়, তিনি বিচার বিভাগের সুনামের প্রভূত ক্ষতি করবেন।'
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে বিজেপি নেতা ও বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেছিলেন যে, 'অবসরের পর বিচারপতিদের হিল্লে করতে আমরা অনেকটাই অগ্রসর হয়েছি। অবসর গ্রহণের পরের চাকরির ইচ্ছে অবসের পূর্ববর্তী রায়গুলিকে প্রভাবিত করে।'