সুপ্রিম কোর্ট সোমবার মণিপুরে জাতি হিংসার অভিযোগের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের তত্ত্বাবধানে মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার দত্তাত্রেয় পদসালগিকারকে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে, মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতিতে মানবিক দিকগুলো খতিয়ে দেখার জন্য জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তালের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছে। তিন সদস্যের কমিটিতে বিচারপতি মিত্তাল ছাড়াও থাকবেন বিচারপতি শালিনী ফাঁসাকলার জোশী এবং আশা মেনন।
এই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে, 'একজন প্রাক্তন পুলিশ অফিসার যিনি সামগ্রিকভাবে তদন্তটি পর্যবেক্ষণ করবেন, তিনি হলেন দত্তাত্রয় পদসালগিকার। তিনি একজন অত্যন্ত দক্ষ অফিসার। তিনি এনআইএ-তে কাজ করেছেন, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোতে কাজ করেছেন এবং ১৯৯০-এর দশকে নাগাল্যান্ডে কাজ করেছেন। তিনি মহারাষ্ট্র ক্যাডারের একজন আধিকারিক ছিলেন।'
একইসঙ্গে তদন্তের ব্যাপারে আদালত জানিয়েছে, 'সিবিআই দ্বারা তদন্ত করা মামলাগুলোর তদারকি করার জন্য কমপক্ষে ডেপুটি পুলিশ সুপার বা পুলিশ সুপার পদমর্যাদার পাঁচ জন আধিকারিককে অন্য রাজ্য থেকে ডেপুটেশনে আনা হবে। তাঁরা সিবিআইয়ের তদন্তের জন্য পরিকাঠামোগত এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা তৈরির কাজ করবেন।'
তদন্তের একটি অতিরিক্ত স্তর হিসেবে আদালত বলেছে যে, 'প্রাক্তন আইপিএস অফিসার পদসালগিকারের এই ধরনের তদন্তে ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি তদন্তের প্রকৃতিগুলোর তত্ত্বাবধান করবেন।' একইসঙ্গে আদালত আরও বলেছে যে ৪২টি বিশেষ তদন্তকারী দল সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরিত না-হওয়া এফআইআরগুলো খতিয়ে দেখবে। একইসঙ্গে আদালত জানিয়েছে যে বিশেষ তদন্তকারী দলে একজন পরিদর্শককে অন্য রাজ্য থেকে ডেপুটেশনে আনা হবে। তিনি কমপক্ষে বিশেষ পুলিশ সুপার বা পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিক হবেন।
আরও পড়ুন- আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনকে হাতিয়ার, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভয়ংকর অভিযোগ বিজেপির!
শুধু তাই নয়, মণিপুরের বাইরে থেকে আসা ছয় জন ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিক তদন্তের তত্ত্বাবধান করবেন। মণিপুরের হিংসা নিয়ে গোটা দেশেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে। বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। ঘর হারিয়েছেন। সাহায্যের আশায় থাকলেও আক্রান্তদের স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ কোনও সাহায্য করেনি বলেই অভিযোগ উঠছে। সেই কারণেই তদন্তে বিশেষ ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।