ইমরান খানকে আজ ইসলামাবাদ আদালতে আনা হবে না, পরিবর্তে, তার নির্ধারিত দিনেই বিশেষ আদালতে হবে শুনানি। যেখানে তিনি হেফাজতে রয়েছেন সেখানেই হবে তার শুনানি, ইসলামাবাদে পুলিশ সদর দফতরে বিশেষ আদালতে হাজিরা দেবেন ইমরান খান, এমনটাই সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে পাক-প্রশাসন।
ইমরান খানের গ্রেফতারির পর, করাচি, পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডি এবং লাহোর সহ পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ তীব্র হয়, হিংসার ঘটনায় অন্তত একজন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। স্থানীয় মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে পিটিআই সমর্থকরা রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দফতর এবং লাহোরে কর্পস কমান্ডারের বাসভবনে হামলা চালায়। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইমরান খানকে গ্রেফতারের পর দেশব্যাপী হিংসাত্মক বিক্ষোভ শুরু হয়। এদিকে পাক দৈনিক ডন জানিয়েছে, ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরান খানের গ্রেফতারিকে বৈধ বলে ঘোষণা করেছে। ইসলামাবাদ পুলিশ এখন পর্যন্ত ৫৩ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে।
ইমরান গ্রেফতার হতেই পাকিস্তানজুড়ে সমর্থকদের তাণ্ডব, গুজব ঠেকাতে বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। ইমরান খান গ্রেফতার হতেই পাকিস্তানজুড়ে শুরু হয়ে তীব্র অশান্তি। ইমরান সমর্থকরা পাকিস্তান সেনার সদর দফতর রাওয়ালপিন্ডির সেনা ছাউনিতে হামলা চালান। আবার লাহোরে কর্পস কমান্ডারের বাসভবনেও তাঁরা ঢুকে পড়েন। পরিস্থিতি সামলাতে মোবাইল ডেটা পরিষেবা এবং ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে পাকিস্তানজুড়ে। যার তীব্র নিন্দা করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তারা টেলিকম কর্তৃপক্ষকে মোবাইল পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার অনুরোধ করেছে।
লাহোরে ১৪৪ ধারা ভেঙে রাজপথে কয়েকশো ইমরান সমর্থককে মিছিল করতে দেখা গিয়েছে। প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার ওয়াসিম আক্রম ইমরানের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তারমধ্যেই পাকিস্তান হাইকোর্ট আবার জানিয়ে দিয়েছে, ইমরানের গ্রেফতারিতে বেআইনি কিছু নেই। এই গ্রেফতারি আইন মেনেই হয়েছে। লাহোর-সহ গোটা পঞ্জাবেই আগামী দু’দিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তার মধ্যেই লাহোর কর্পোরেশনের কমান্ডারের বাড়ি থেকে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে ময়ূর চুরি করেছেন এক ব্যক্তি। তিনি আবার দাবি করেছেন, লাহোরের মেয়র এতদিন জনগণের পয়সা চুরি করেছেন। এবার জনগণ তা বুঝে নিচ্ছে।
ব্রিটিশ কাউন্সিল আবার পাকিস্তানজুড়ে হতে চলা ইংরেজি শিক্ষার পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করেছে। ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ অভিযোগ করেছে দলের সিন্ধ প্রদেশের প্রধান আলি হায়দার জাইদিকে করাচিতে অপহরণ করা হয়েছে। পাকিস্তান পুলিশ আবার জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে পাঁচ অফিসার আহত হয়েছেন। পাক পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মহসিন কাদরিও ইমরানের গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, এই গ্রেফতারি গণতন্ত্রের ওপর আঘাত।