প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কে ডি সিংহকে গ্রেফতার করল ইডি। অ্যালকেমিস্ট চিট ফান্ড মামলায় দিল্লির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি এর সদর দফতরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছ। অ্যালকেমিস্টের বিরুদ্ধে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। এই মামলায় গত কয়েকদিন ধরেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। ইডির সদর দফতরেই চলছিল সেই জিজ্ঞাসাবাদ। এদিন জিজ্ঞাসাবাজের সময়ই কে ডি সিংকে গ্রেফথার করা হয়েছে। এদিনই আদালত কে ডি সিং-কে তিন দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কে ডি সিং-এর সংস্থা অ্যালকেমিস্টের বিরুদ্ধে বাজার থেকে বেআইনিভাবে কোটি-কোটি টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে। সেই টাকা একাধিক ‘প্রভাবশালীর’ কাছে গিয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এমনকী, সেই টাকা বিদেশেও পাচার হতে পারে বলে আশঙ্কা ইডি কর্তাদের। এই মামলার তদন্তে নেমে সংস্থার একাধিক কর্মী-আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছিল ইডি। জেরা চলছে অ্যালকেমিস্ট কর্তা কেডি সিং-য়েরও।
২০১৪ সালে তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ হন ব্যবসায়ী কে ডি সিংহ। ২০২০ সাল পর্যন্ত সাংসদ ছিলেন তিনি। তবে ২০১৬ সালে নারদা কাণ্ড সামনে আসার পর দলের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক ছিল না।
কে ডি সিংহকে গ্রেফতারের পরই তাঁর সঙ্গে বর্তমানে তৃণমূল সম্পর্কহীনতার বিষয়টি তুলে ধরতে মরিয়া রাজ্যের শাসক শিবির। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘কে ডি সিংহের সঙ্গে দীর্ঘদিন তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ দফতরের অধীন তদন্তকারী সংস্থা ইডি। প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং-এ কেউ অভিযুক্ত হলে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করে এই সংস্থা। আমার মনে হয়, নিশ্চয়ই কোনও দোষ পেয়েছে, তাই গ্রেফতার করেছে।’
দলের প্রাক্তন সাংসদের গ্রেফতারিকে 'উদ্দেশ্য প্রণোদিত' বলে তোপ দেগেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। চিটফান্ড মামলায় মুকুল রায়ের গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে কে ডি সিংয়ের গ্রেফতারির পরই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো তৃণমূলকে নিশানা করেছে। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'ওনার আরও আগে গ্রেফতার হওয়া উচিত ছিল। উনি আরও বড় দুর্নীতিতে জড়িত।' বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের দাবি, 'গড়াপেটা গেম চলছে। রাঘোববোয়ালদের ধরা উচিত।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন