Advertisment

কোন কৌশলে লকডাউন শিথিল? পথ খুঁজছে কেন্দ্র

লকডাউনের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের যোগান সচল রাখতে মরিয়া সরকার। এই পরিস্থিতিতে লকডাউনের প্রকৃতি কী হবে?

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ছ'টি রাজ্য ইতিমধ্যেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছে। দেশেও আরও দু'সপ্তাহ লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ইঙ্গিত মিলেছে। তবে তার গাইড লাইন এখনও আসেনি। লকডাউনের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের যোগান সচল রাখতে মরিয়া সরকার। এই পরিস্থিতিতে লকডাউনের প্রকৃতি কী হবে? তা নিয়েই ভাবনা-চিন্তা চালাচ্ছে কেন্দ্র। বর্ধিত লকডাউনে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিতে পারে কেন্দ্র। তবে কোন ক্ষেত্রে, কোথায় এই ছাড় দেওয়া হবে তার সিদ্ধান্ত রাজ্যগুলিক উপরই ছাড়তে চাইছে মোদী সরকার।

Advertisment

গত শনিবারই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির পক্ষেই সওয়াল করেছে একাধিক রাজ্য। তবে, রাজ্যের যেসব অঞ্চলে ভাইরাসের প্রকোপ প্রায় নেই বললেই চলে, সেখানে বর্ধিত লকডাউনে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে শুরু করতে চায় অধিকাংশ রাজ্য। অন্তত কৃষি ও শিল্প কাজে ছাড়ের দাবি জানিয়েছে কেরালা, তেলেঙ্গানা, কর্নাটক সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য।

সরকারি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ২১ দিনের লকডাউন শেষ পর্যায়ে। এটা পরিস্কার যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের যোগান ধরে রাখতে কিছু একটা করা হবে। ফলে, 'সুরক্ষিত এলাকায়' কিছু কার্যকলাপে ছাড় দেওয়া হতে পারে। বাস্তবে এটা বলবৎ হলে অবশ্য, 'সুরক্ষিত এলাকা' চিহ্নিতকরণের ভার দেওয়া হবে রাজ্যগুলোকেই। কারণ পরিস্থিতি রাজ্যগুলোই ভাল করে জানে। কিন্তু, এতে বিরাট বদল আসবে বলে মনে করছে না কেন্দ্র। উল্টে, 'সুরক্ষিত এলাকা' নির্ণয়ে ভুল হলে বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। যা রাজ্যগুলোর পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।

অন্য এক সরকারি সূত্র জানাচ্ছে, ছাড় দিলেই মানুষের চলাচল বাড়বে। লকডাউনের মধ্যে এই চলাচল মারাত্মক বিপদের। তাই চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত কঠোর লকডাউন বিধি মেনে চলা উচিত। ফলে লকডাউনের প্রকৃতি নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। আজ, সোমবারই অবশ্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে করোনা লকডাউন পরিস্থিতি পর্যোলেচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।

আরও পড়ুন- করোনাভাইরাস কি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে?

এদিকে, দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। ২৮৪ থেকে বেড়ে ভারতের ৩৫৪ জেলায় ভাইরাস আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। রবিবার দেশে করোনায় আক্রান্ত ৯১৮ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে আট হাজার ছাড়িয়েছে। মারা গিয়েছে ২৭৩ জন। আপাতত এই পরিসংখ্যানই লকডাউনের প্রকৃতি নিয়ে ভাবাচ্ছে মোদী সরকারকে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সম্পাদক জানিয়েছেন যে, দেশের ১৪টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হয়েছে- যেগুলি একাধিক মেডিক্যাল কলেজের মেন্টর হিসাবে কাজ করবে। আরও বেশি সরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার আয়োজন করা হচ্ছে। মেন্টর প্রতিষ্ঠানগুলো তাতেই তদারকি ও সহায়তা করবে। গত পাঁচদিনে রোজ প্রায় ১৫ হাজারের বেশি করে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে আইসিএমআরের তরফে। করোনা রুখতে রাজ্যগুলিকেও ব্যাপকহারে পীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।

Read  the  full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus corona
Advertisment