Advertisment

জুলাইয়ে ঝেঁপে বৃষ্টি! ভ্যাপসা গরম থেকে কবে মিলবে রেহাই? রইল আবহাওয়ার বিরাট আপডেট

১৯৭১ থেকে ২০২০ সালের তথ্যের ভিত্তিতে জুলাই মাসে সারা দেশে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৮০.৪ মিলিমিটার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
west bengal weather forecast 14 july 2023

তুমুল বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যজুড়ে।

শুক্রবার ভারতের আবহাওয়া দফতর (আইএমডি) জানিয়েছেন যে উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের কিছু অংশ ব্যতীত সমগ্র দেশে জুলাই মাসে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক হবে। তবে পুরো মাস জুড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

Advertisment

দেশে বর্ষা প্রবেশ করলেও এর প্রভাব এখনও দেশের বিস্তৃর্ণ অংশে দেখা যায়নি। শুক্রবার ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) বলেছে যে উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের কিছু অংশ ব্যতীত সমগ্র দেশে জুলাই মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে এবং পুরো মাস জুড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকতে পারে।

আইএমডি ডিরেক্টড় মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন যে 'জুলাই মাসে সারা দেশে গড় বৃষ্টিপাত হবে। জুন মাসে কমপক্ষে ১৬ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ছিল। একই সময়, বিহার এবং কেরালায় যথাক্রমে ৬৯ শতাংশ এবং ৬০ শতাংশ ঘাটতি ছিল'৷

উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানার মতো বড় রাজ্যগুলিতেও জুন মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। তিনি বলেছেন যে 'সাম্প্রতিক এল নিনো প্রভাবে জুন মাসে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক সীমার মধ্যে ছিল। তবে জুলাইয়ের সেই ঘাটতি মিটে যাবে বলেই আশা। জুলাইয়ে বৃষ্টিপাত স্বভাবিক হবে'। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে যে জুলাই মাসে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং ভারতের কিছু এলাকা ছাড়া দেশের বেশিরভাগ অংশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিক থেকে বেশি থাকতে পারে।

এল নিনো হল সাউদার্ন অসিলেশন (ENSO) এর অংশ, এটি আবহাওয়া এবং মহাসাগরের সাথে সম্পর্কিত একটি প্রাকৃতিক জলবায়ুর ঘটনা। ENSO এর দুটি পর্যায় রয়েছে - এল নিনো এবং লা নিনা। স্প্যানিশ ভাষায় এল নিনো মানে 'ছোট ছেলে' এবং এটি একটি উষ্ণ পর্যায়। অন্যদিকে, লা নিনা মানে 'ছোট মেয়ে' যা ঠান্ডা পর্যায়।

প্রশান্ত মহাসাগরে পেরুর কাছে সমুদ্র উপকূলের উষ্ণতা বৃদ্ধির ঘটনাটিকে এল-নিনো বলা হয়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে সমুদ্রের তাপমাত্রা ও বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থার যে পরিবর্তন, সেই সামুদ্রিক ঘটনার নামকরণ করা হয়েছে এল নিনো। এই পরিবর্তনের ফলে সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ডিগ্রি বেশি হয়ে যায়। সাত বছর আগে শেষবার এই স্রোত আবহাওয়ায় ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলেছিল।

আইএমডি জানিয়েছে জুনে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি দেশে প্রায় ১০শতাংশ পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে জুলাই মাসে বৃষ্টির ঘাটতি অনেকাংশে পূরণ হবে বলেই আভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার প্রকাশিত সরকারী তথ্য অনুসারে, অসমে বর্ষা ধান চাষে ব্যপক প্রভাব ফেলেছে।

১৯৭১ থেকে ২০২০ সালের তথ্যের ভিত্তিতে জুলাই মাসে সারা দেশে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৮০.৪ মিলিমিটার। মধ্য ভারত এবং পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ উপদ্বীপ ও পূর্ব ভারত এবং উত্তর-পূর্বের কিছু এলাকায় স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

IMD
Advertisment