এতদিন ১২ ঊর্ধ্বদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল। এবার ৫ থেকে ১২ বছরের মধ্যের শিশুদেরও করোনা ভ্যাকসিন পাওয়ার সুযোগ বাড়ল। সরকারের তৈরি বিশেষজ্ঞ কমিটি সুপারিশ করেছে, কোরবেভ্যাক্স ভ্যাকসিন ৫ ঊর্ধ্বদের দেওয়া যাবে। ভ্যাকসিন নিয়ে সরকার যে কোনও সিদ্ধান্ত নেয় বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামতের ভিত্তিতে। সেই কমিটিই কোরবেভ্যাক্স ৫ ঊর্ধ্বদের দেওয়ার সুপারিশ করেছে। দেশের প্রথম প্রোটিন সাব-ইউনিট ভ্যাকসিন কোরবেভ্যাক্স।
ভারতের প্রথম দেশীয়ভাবে তৈরি এই ভ্যাকসিন। যা তৈরি করেছে হায়দরাবাদের সংস্থা বায়োলজিক্যাল ই। নিয়মমাফিক বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের পর কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা যাবতীয় দিক বিচার-বিবেচনা করে সেই সুপারিশ কার্যকর করে। তারপর ছাড়পত্র দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বৃহস্পতিবার বিশেষজ্ঞ কমিটি তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই সুপারিশে ছাড়পত্র দেবে ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিশেষ সূত্রে একথা জানতে পেরেছে দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
এই প্রথম দেশের কোনও করোনা ভ্যাকসিনকে ৫ ঊর্ধ্বদের ওপর প্রয়োগের সুপারিশ করল বিশেষজ্ঞ কমিটি। এই সুপারিশের আগে কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ৫ ঊর্ধ্বদের করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। বর্তমানে দেশের ১২ থেকে ১৪ বছরের মধ্যের বাচ্চাদের যে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, সেটাও কোরবেভ্যাক্স। এর মধ্যে ২,৫৩,৮৭,৬৭৭ জনকে করোনার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১২,৪৭,২৯৮ জন। এই ভ্যাকসিন স্পাইক প্রোটিনকে ব্যবহার করে ইমিউনিটি ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এমনিতেই শিশুদের মধ্যে ইমিউনিটি বেশি থাকে। তা আরও বাড়িয়ে তোলায় করোনা প্রতিরোধ সহজসাধ্য হয় বলেই বিশেষজ্ঞদের মত।
এই ভ্যাকসিনে একটা অ্যান্টিজেন আছে। যা তৈরি করেছে টেক্সাস চিলড্রেন হসপিটাল সেন্টার ফর ভ্যাকসিন ডেভলপমেন্ট। তারা অ্যান্টিজেন তৈরির লাইসেন্স নিয়েছে বেলর কলেজ অফ মেডিসিনসের বিসিএম ভেঞ্চারসের থেকে। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্য়ে বায়োলজিক্যাল ই সংস্থাকে ১,৫০০ কোটি টাকা অগ্রিম দিয়েছে। এই টাকার বদলে ৩০ কোটি কোরবেভ্যাক্সের ডোজ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হাতে তুলে দেবে বায়োলজিক্যাল ই সংস্থা। সেই ভ্যাকসিনই আপাতত দেওয়া হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুদের।
Read story in English