করোনা আক্রান্ত হলেই যে অক্সিজেন কিংবা রেমডেসিভির (remdesivir) নিতে হবে এমনটা একেবারেই নয়। বরং রোগীদের মধ্যে ঘাটতি নিয়ে অযথা আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে, এমনটাই মত প্রকাশ করলেন দেশের উচ্চ পর্যায়ের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
রবিবার তাঁরা জানান যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত যেসব রোগীর হালকা সংক্রমণ রয়েছে, তেমন ৮৫% থেকে ৯০% ক্ষেত্রে তাঁদের ঘরে বসেই চিকিৎসা সম্ভব। ভ্যাকসিন নিয়ে আইসোলেশনে থাকলে এই ভাইরাস সংক্রমণের শৃঙ্খলটি ভাঙা যেতে পারে।
এইমসের প্রধান ডা: রণদীপ গুলেরিয়া বলেন যে বাড়িতে অক্সিজেন এবং রেমডেসিভিরের মতো ইঞ্জেকশন সংগ্রহ করা নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকী ওষুধের ঘাটতি রয়েছে এমন ভীতিও তৈরি করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোভিডে যাঁদের সংক্রমণ উপসর্গ কম, যেমন কেবলমাত্র সর্দি, জ্বর, গলা এবং শরীরে ব্যথা রয়েছে তাঁদের হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা করা সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে অক্সিজেন বা রেমডেসিভিরের কোনও প্রয়োজন নেই।"
আরও পড়ুন, অক্সিজেনের পর এবার ভেন্টিলেটর আকাল দেশে, ধুঁকছে মুম্বই
ডা: রণদীপ গুলেরিয়ার কথায়, গুরুতর সংক্রমণ রয়েছে এমন ১০-১৫ শতাংশ রোগীদের অক্সিজেন, রেমডেসিভির বা প্লাজমার প্রয়োজন হতে পারে। ৫ শতাংশেরও কম রোগীর ভেন্টিলেটর বা আইসিইউ-র প্রয়োজন। এইমস প্রধানের মতে রেমডেসিভির করোনার সম্পূর্ণ নিরামক কিংবা জীবন বাঁচিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। মাঝারি থেকে গুরুতর সংক্রমণকে কিছুটা রুখতে সক্ষম হয় কেবল।
অক্সিজেন দেওয়ার ক্ষেত্রেও চিকিৎসক বলেন যে ৯৪-এর বেশি যাঁদের রক্তে অক্সিজেন স্যাচুরেশন রয়েছে তাঁদের অক্সিজেন নেওয়ার প্রয়োজন নেই। অযথা আতঙ্ক তৈরি করে অক্সিজেন সরবরাহে ঘাটতি সৃষ্টি করা হচ্ছে বলেই তাঁর মত। এর ফলে যাঁদের অবস্থা গুরুতর তাঁরা প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পাচ্ছে না।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন