কাবুলের গুরুদ্বারার কাছে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল এক শিখ ব্যক্তির দোকান। ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। ওই গুরুদ্বারা চত্বরে থাকা শিখ ও হিন্দু পরিবারগুলো সুরক্ষিতই আছে বলেই বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। কয়েকদিন আগে কাবুলের গুরদোয়ারা দশমেশ পিতা গুরু গোবিন্দ সিং কার্তে পারওয়ানে জঙ্গি হামলা হয়েছিল। যাতে দুই ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছিলেন। সেই গুরুদোয়ারার কাছেই বুধবার এক শিখ ব্যক্তির দোকানে বিস্ফোরণ ঘটল। তবে, ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যে ব্যক্তির দোকানে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তাঁর আত্মীয়রা দিল্লিতে থাকেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে কাবুল থেকে হিন্দু ও শিখদের দ্রুত ভারতে ফেরানোর আর্জি জানিয়েছেন।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ব্যক্তির দোকানে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তাঁর নাম হরজিৎ সিং। তিনি বিদেশ মন্ত্রককে জানিয়েছেন, 'কেউ একজন গুরুদ্বারার কাছে ওই দোকানে টাইম বম্ব লাগিয়ে রেখেছিল। যখন বিস্ফোরণ ঘটে, সেই সময় আমি দুপুরের খাবার খেতে বাড়িতে ফিরেছিলেন। ঠিক তখনই বিস্ফোরণ ঘটেছে। ওই বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ আগেই আমি দোকানে বসেছিলাম। খেতে এসে আচমকা একটা বিরাট জোরে শব্দ শুনতে পাই। তারপর দেখি দোকানে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এই অবস্থায় আমার দেশ, আমার কাবুল নেমে এসেছে।'
আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী রায়, ইডির গ্রেফতারির ক্ষমতায় সিলমোহর আদালতের
হরজিৎ সিংয়ের আত্মীয় গগনদীপ সিং দিল্লিতে থাকেন। গত ১৮ জুন জঙ্গিহানায় গগনদীপের বাবা সবিন্দর সিং কাবুলে প্রাণ হারিয়েছেন। সেই শোক ভুলতে পারেননি। তার মধ্যে এই জঙ্গিহানা। গগনদীপ জানিয়েছেন, তিনি আর পরিবারের কারও প্রাণহানি দেখতে চান না। গগনদীপ বলেন, 'হরজিৎ সিং, যাঁর দোকানে আজ বিস্ফোরণ হয়েছে, তিনি আমার মামা। ভাগ্যক্রমে তিনি দুপুরের খাবার খেতে বেরিয়েছিলেন। তখনই দোকান বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। যথেষ্ট হয়েছে। আমরা আর হানাহানি সহ্য করতে পারছি না। এভাবে জঙ্গিহানায় পরিবারের আর কাউকে হারাতে পারব না। বাকি শিখ ও হিন্দুদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ করছি।'
Read full story in English