এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের শেষ চার্জশিট বলছে অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড কাণ্ডে গণমাধ্যমকে প্রভাবিত করতে গাই ডগলাসকে ভাড়া করা হয়েছিল। এই সূত্রে মানু পাব্বি এবং শেখর গুপ্তার নাম উল্লেখ করেছেন ক্রিসচিয়ান মিশেল। প্রসঙ্গত, এই দু'জনেই সেই সময় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পিএমএলএ -র ৫০ নম্বর ধারায় মিশেল জানিয়েছেন অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড কাণ্ড ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল।
চার্জশিটে ক্রিসচিয়ান মিশেল বলেছেন, "আমাদের পক্ষের কথা বলার জন্য আমি গাই ডগলাসকে স্থায়ী গণমাধ্যম পরামর্শদাতা হিসেবে রেখেছিলাম। মানু পাব্বি ছিলেন সবচেয়ে বিপজ্জনক সাংবাদিক। ডগলাস প্রথমেই মানুর সঙ্গে দেখা করে আমাদের বয়ান শোনাতে চেয়েছিলেন মানু পাব্বিকে"।
২০১২-১৩ সালে অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড কাণ্ড নিয়ে তদন্তের একাধিক রিপোর্ট একের পর এক সামনে আনতে থাকেন পাব্বি। তখনই প্রথম এই চুক্তি সংক্রান্ত অনিয়মের কথা জনসমক্ষে আসে। ২০১৪ সালে তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন, মাসুদ আজহার নিয়ে মার্কিন মেজাজ পরিস্থিতি ঘোরালো করবে: চিন
বিদেশি ফার্মের ঘুষের টাকা যে ভারতে ঢুকছে, তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসই প্রথম সামনে আনে। ক্রিসচিয়ান মিশেলের সঙ্গে যে এ দেশের গভীর যোগাযোগ রয়েছে, সেই খবরও প্রথম সামনে আনে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসই।
ইডির চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড চপার কেনাবেচার বাজেটশিটে এক নেতার উল্লেখ রয়েছে, যাঁকে 'এপি' নামে ডাকা হয়েছে। মিশেলের মতে ওই বাজেট শিটে পরিবার বোঝাতে লেখা হয়েছে 'ফ্যাম'। অভিযোগ, বায়ুসেনার প্রাক্তন কর্তা শপ ত্যাগী, কূটনীতিবিদ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিক ও শাসক দলের শীর্ষ স্থানীয় রাজনীতিবিদদের মোট ৩ কোটি ইউরো উৎকোচ দেওয়া হয়েছে।
অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ডের সরকারি মুখপাত্র ছিলেন ডগলাস। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে উভয়পক্ষের মতের উল্লেখ রাখার কারণেই বেশ কয়েকবার ডগলাসের মন্তব্য উদ্ধৃত হয় প্রতিবেদনে।
এই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তৎকালীন প্রধান সম্পাদক শেখর গুপ্তা জানিয়েছেন, "ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একাধিক তদন্তের ফলেই চুক্তির অনিয়ম মানুষের সামনে আসে। তা থেকেই স্পষ্ট, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রভাবিত হওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না"।
English