আজ সন্ধ্যায় দিল্লিতে প্রদান করা হলো 'দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক্সেলেন্স ইন গভরন্যান্স অ্যাওয়ার্ডস', যেখানে আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিলেন দেশের ১৬ জন ডিসট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট অর্থাৎ জেলাশাসক। দু'বছর অন্তর একবার আয়োজিত এই অনুষ্ঠান প্রকাশ্যে সম্মান জানায় সেইসব মহিলা এবং পুরুষদের, যাঁদের কাঁধে ভর দিয়েই চলে দেশের শাসনব্যবস্থা, যাঁদের হাত দিয়েই আসে পরিবর্তন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাঁচজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, যাঁদের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন প্রাপকেরা, ১৬ টি ক্ষেত্রে তাঁদের অসামান্য অবদানের জন্য। এই ক্ষেত্রগুলির মধ্যে রয়েছে কৃষি, শিক্ষা, প্রযুক্তি, নারী কল্যাণ, এবং অন্যান্য বিভাগ। ২৪ টি রাজ্যের ৮৪ টি জেলা থেকে আসা ২৪৯ টি মনোনয়নের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয় পুরস্কার প্রাপকদের।
এক নজরে পুরস্কার প্রাপকরা হলেন:
কার্তিকেয় মিশ্র (পূর্ব গোদাবরী, অন্ধ্র প্রদেশ), বিভাগ - দক্ষতা উন্নয়ন ও মাওবাদী-অধ্যুষিত অঞ্চলে বিকাশ
সন্দীপ নানদুরি (তিরুনেলভেলি, তামিল নাড়ু), বিভাগ - কেন্দ্রীয় প্রকল্পের রূপায়ণ
আয়াজ তামবোলি (বিজাপুর, কর্ণাটক), বিভাগ - স্বাস্থ্য
আস্তিক কুমার পাণ্ডে (আকোলা, মহারাষ্ট্র), বিভাগ - সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ততা
রাজকুমার যাদব (দক্ষিণ সিকিম), বিভাগ - উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় জেলা
বিবেক যাদব (ভিজিয়ানাগ্রাম, অন্ধ্র প্রদেশ), বিভাগ - শক্তি
ডাঃ এ শরত (জাগতিয়াল, অন্ধ্র প্রদেশ), বিভাগ - শিক্ষা
তুকারাম মুন্ধে (নভি মুম্বই, মহারাষ্ট্র), বিভাগ - প্রযুক্তির বাস্তবায়ন
ডাঃ প্রশান্ত ভোলানাথ নারনাওয়ারে (ওসমানাবাদ, মহারাষ্ট্র), বিভাগ - কৃষি
সি আর খরসন (ভালসাড়, মহারাষ্ট্র), বিভাগ - সর্বব্যাপী উদ্ভাবন
রাকেশ কনবর (কুল্লু, হিমাচল প্রদেশ), বিভাগ - সমাজ কল্যাণ
ডাঃ মাধবী খোড়ে চাওয়ারে (নাগপুর, মহারাষ্ট্র), বিভাগ - শিশু বিকাশ
আশিস সাক্সেনা (ঝাবুয়া, মধ্য প্রদেশ), বিভাগ - নারী কল্যাণ
ডাঃ শাহিদ ইকবাল চৌধুরী (উধমপুর, জম্মু), বিভাগ - জম্মু ও কাশ্মীর এলাকা
ডাঃ এস লক্ষণন (কাছাড়, আসাম), বিভাগ - সীমান্তবর্তী জেলা
বিশেষ অতিথিরা ছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও হাইওয়ে পরিবহণ তথা ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ মন্ত্রী নীতিন গড়করি, কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা, খাদ্য ও জনবন্টন মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান, কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার তথা ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ, কেন্দ্রীয় রেল তথা বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, কর্মী, জন-অভিযোগ ও পেনশন, তথা পরমাণু শক্তি দপ্তর ও মহাকাশ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ জিতেন্দ্র সিং।
পুরস্কার প্রাপকদের বেছে নিয়েছে এক বিশিষ্ট জুরি, যার নেতৃত্বে ছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আর এম লোধা, এবং অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন তথা ভারতের প্রথম প্রধান তথ্য কমিশনার ওয়াজাহাত হবিবুল্লা, ভারতের প্রাক্তন বিদেশ সচিব তথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ও চিনে দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত নিরুপমা রাও, এবং প্রাক্তন ক্যাবিনেট সচিব কে এম চন্দ্রশেখর। যেসব বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয়, সেগুলি হলো: কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের রূপায়ণ, প্রযুক্তি, নারী কল্যাণ, শিশু বিকাশ, সর্বব্যাপী উদ্ভাবন, দক্ষতা উন্নয়ন, ব্যবসায়িক উদ্যোগ, এবং শক্তি।