আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে বারে বারে নানান অভিযোগ সামনে এসেছে। এই নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করেছে অবিজেপি দলগুলি। ২০০১ সালে মাত্র ১টি গুজরাটের বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব ছিল এই গোষ্ঠীর হাতে। সেখান থেকে আজ ১৪ টি বন্দর এবং টার্মিনাল সহ মোট কার্গো পন্যে এক চতুর্থাংশ পরিচালনা করে আদানি গোষ্ঠী।
গত ১০ বছরে আদানি গ্রুপের বন্দর পরিচালনার অসাধারণ বৃদ্ধিও নজরে এসেছে। ১৪টির মধ্যে ৬টি বন্দর ও টার্মিনাল অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সরকারের বিভিন্ন বিভাগে প্রাক্তন তিনজন শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছে, যারা এই বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
১০ বছর আগে দেশের পশ্চিম উপকূলের একটি কোণ থেকে, কোম্পানিটি এখন ভারতের ৫,৪২২ -কিমি উপকূলরেখা বরাবর গড়ে প্রতি ৫০০ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে আদানি তার বন্দরের আধিপত্য বিস্তার করেছে।
বন্দর সেক্টরে আদানি গ্রুপের ব্যবসা ১০ বছরে ৯ শতাংশ থেকে ২৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলার সময় অর্থ মন্ত্রকের একজন সিনিয়র আধিকারিক বলেছেন, "এটি একটি খুব বড় উদ্বেগের বিষয়।" নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্য একজন অর্থ মন্ত্রকের এক সিনিয়ার আধিকারিক বলেছেন, আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতি এবং স্টক ম্যানিপুলেশনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শিপিংয়ের মতো কৌশলগত খাতে বাজারের ঘনত্ব নিয়ে উদ্বেগ আরও গভীর করেছে"। আদানি গ্রুপ ধারাবাহিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে, তাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছে।
১০ বছর আগে, ২০১৩ অর্থবর্ষে, আদানি গ্রুপের বন্দর ব্যবসায় প্রায় ৯১ মিলিয়ন টন কার্গো ভলিউম ছিল। এটি সমস্ত বন্দর দ্বারা পরিচালিত মোট কার্গো ভলিউমের মাত্র ১০ শতাংশ এবং সমস্ত ছোট বন্দর দ্বারা পরিচালিত ভলিউমের ২৩ শতাংশেরও বেশি ছিল৷ একটি বন্দর একটি ছোট বন্দর যদি এটি সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত না হয়। ২০২৩ অর্থবর্ষে যা পৌঁছেছে ১৫৫ মিলিয়ন টন। এটি কেন্দ্রীয় সরকারের মালিকানাধীন ১২টি বন্দরের চেয়েও বেশি।
২০২১-এও, যখন মহামারীর কারণে ভারতের সামগ্রিক বন্দরে বাণিজ্য ৪ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে, আদানির ব্যবসার অঙ্ক আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১১ শতাংশ বেড়েছে।