চলতি মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। এর আগে বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রী আব্দুল জয়শঙ্কর তাঁর দ্বিপাক্ষিক বাংলাদেশ সফরে সম্পর্কের উপরই বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই সফরসূচি। বাংলাদেশকে 'প্রধান প্রতিবেশি' এবং 'মূল্যবান অংশীদার' হিসেবেও বর্ণনা করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। যদিও সম্পর্কের মধ্যে কাঁটা একটাই তা হল- নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও নাগরিকপঞ্জী। যদিও প্রতিবেশিই প্রথম নীতি এই প্রসঙ্গেই বাংলাদেশের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেছেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর।
পাশাপাশি, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার বিষয়ে দুই দেশই একমত হয়েছে। যৌথভাবে ভারত-বাংলাদেশ এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে। পাশাপাশি তিস্তা নদীর জল বন্টন চুক্তির সময়সীমা নিয়ে এদিন জয়শঙ্কর বলেন, বিষয়টি এখনও আলোচনার পর্বে রয়েছে। তবে খুব শিগগিরই এই বিষয়ে ফের বৈঠকে বসবে ভারত।
ড. এস জয়শঙ্কর বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে, দুই দেশের মধ্যে সব ইস্যুতেই আলোচনা হতে পারে। আমাদের মধ্যে সব সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঢাকায় আসছেন। করোনা পরবর্তী সময়ে এটাই মোদীর প্রথম বিদেশ সফর হবে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে সীমান্তে গোলাগুলি বন্ধের বিষয়ে একমত হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে একপ্রস্ত বৈঠকের পর দু'দেশের তরফেই জানানো হয়, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যাবতীয় মৈত্রীচুক্তি, সমঝোতা মেনেই চলবে দুই দেশের সেনাবাহিনী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন